সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমেই বলে দেওয়া ভাল হৃদয় শক্ত না হলে নিচের ভিডিওটি দেখবেন না। কারণ তথাকথিত সভ্য সমাজের কাছে নির্মমভাবে মার খাচ্ছে একটি বাঘিনী। নিজের চেনা এলাকা ছেড়ে যে ভুলবশত এসে পড়েছিল বসতিতে। আর সেই কারণেই শাস্তি পেতে হল তাকে। গ্রামবাসীদের বাঁশ-লাঠির মারের ঘায়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে বাঘিনী।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের। গ্রামবাসীদের অনেকেরই দাবি, বসতি এলাকায় ঢুকে নাকি মানুষের উপর হামলা করে ওই বাঘিনী। আর সেই কারণেই তাকে বাগে পেয়ে মারতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সেই মারের ভিডিও। গ্রামবাসীরা ‘মার-মার’ বলে চিৎকার করছেন আর লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন তাকে। তাঁদের চোখ-মুখে রাগ স্পষ্ট। যোগীর রাজ্যের এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া।
[আরও পড়ুন: অস্বস্তির কাঁটা নিয়েই চতুর্থবার কর্ণাটকের মসনদে বসলেন ইয়েদুরাপ্পা]
পিলভিট এলাকাটি উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত এলাকায়। যেখানে একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকা রয়েছে। সেখানেই জঙ্গলের মধ্যে বাঘিনীকে মারের ঘটনায় বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামবাসীরা ঠিক কেন এভাবে প্রাণ নিলেন বাঘিনীর, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠি দিয়ে বাঘিনীকে খোঁচাচ্ছেন অনেকে। সে যাতে কোনওভাবেই প্রাণে না বাঁচে, সেটাই যেন নিশ্চিত করতে চাইছেন সকলে। তার চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে মারধরের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যায় সে। পিলভিট ব্র্যাঘ্র সংরক্ষণ দপ্তরের প্রধান এইচ রাজামোহন বলেন, শরীরের প্রায় সব অংশেই চোট পায় পাঁচ-ছয় বছর বয়সি বাঘিনীটি। পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে কেন বাঘিনীকে বাঁচাতে পারলেন না বনদপ্তরের কর্মী, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। গ্রামবাসীরাই বনকর্মীদের বাধা দেন কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। গোটা ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
[আরও পড়ুন: ‘গরু অক্সিজেন দেয়’, বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী]
The post গ্রামবাসীদের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু বাঘিনীর, ভাইরাল মর্মান্তিক ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.