সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে ফের গুন্ডারাজ। প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল বিজেপির জেলাস্তরের নেতা (BJP Leader) প্রমোদ কুমার যাদবকে (Pramod Kumar Yadav)। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জৌনপুরের বোধাপুর গ্রামে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তোলাবাজি ও অপহরণ মামলায় গতকালই ৭ বছরের সাজা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ তথা জেডিইউ নেতা ধনঞ্জয় সিংয়ের। বাহুবলী এই নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রমোদ। ফলে তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতি যোগের সম্ভাবনাও প্রকট হয়ে উঠছে।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বোধাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বিজেপি নেতা প্রমোদ কুমার যাদব। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ দলীয় দপ্তরে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ছিলেন তিনি। নিজের স্কর্পিও গাড়িতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূর আসার পর এক মোড়ের কাছে তাঁর গাড়ি আটকায় দুই বাইক আরোহী। বিয়ের কার্ড দেওয়ার অছিলায় তাঁরা দেখা করতে চান প্রমোদের সঙ্গে। অনুরোধ রাখতে গাড়ির কাঁচ নামাতেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি প্রমোদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে দুষ্কৃতীরা। দলীয় নেতার হত্যার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন জৌনপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৃপাশঙ্কর সিং।
[আরও পড়ুন: অপহরণ ও তোলাবাজি মামলায় প্রাক্তন সাংসদ ধনঞ্জয়ের ৭ বছরে সাজা ঘোষণা আদালতের]
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পুরোপুরি রাজনীতির যোগ দেখছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ প্রমোদ যাদব প্রাক্তন বাহুবলী সাংসদ ধনঞ্জয়ের সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সম্প্রতি জেডিইউয়ের এই শীর্ষ নেতার ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে অপহরণ ও তোলাবাজির মামলায়। ধনঞ্জয়ের জেলবন্দি হওয়ার সুযোগে প্রমোদকে হত্যা করে রাজনৈতিক আক্রোশ মেটানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুনের পিছনে সব সম্ভাবনার দিকগুলিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পরিবার পিছু মাসে ৬ হাজার টাকা, জাতিগত জনগণনা! ইস্তেহারে বড় ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস]
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে রারি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন প্রমোদ যাদব। এরপর ২০১২ সালে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন তিনি। যদিও সেবার তাঁর মনোনয়নপত্র খারিজ হয়ে যায়। সেই সময়ে ধনঞ্জয়ের স্ত্রী জাগৃতি নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন। যদিও সেই নির্বাচনে সপার কাছে পরাজয় হয় তাঁর।