সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল যোগীর (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (UP police)। কিছু দিন আগে এক ধাবায় ঝামেলার জেরে সেখানকার মালিক এবং কয়েকজন ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ভুয়ো অভিযোগ দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) উত্তরপ্রদেশের ডিজিপিকে (DGP) নোটিস দেয়। অভিযোগ পেয়ে ওই ২ পুলিশ (Police) কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় একমাসে ২ লক্ষ মানুষের জরিমানা, কড়া নজরদারি কলকাতা মেট্রোতেও]
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলায় এক ধাবায় খেতে যান ২ কনস্টেবল। খাওয়ার পর তাঁদের বিল হয় ৪৫০ টাকা। কিন্তু তাঁরা মাত্র ১০০ টাকা ধরিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চান। ধাবার মালিক পুরো টাকা চান। তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পুলিশকর্মীরা হুমকি দিলেও তাঁদের ছাড়তে রাজি হননি ধাবা মালিক। এরপর ওই ২ পুলিশ কর্মী তাঁদের আরও কয়েকজন সহকর্মীকে ফোন করে ডাকেন। অভিযোগ তাঁরা এসে পৌঁছলে এবার নতুন উদ্যমে ধাবা মালিকের উপর চড়াও হন পুলিশ কর্মীরা। শেষে পুলিশ কর্মীরা ধাবা মালিক প্রবীণ কুমার যাদব, তাঁর ভাই এবং ধাবার ৮ জন ক্রেতাকেও গ্রেফতার করে নিয়ে যান। তাঁদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয় গোটা বিষয়টি নিয়ে। জানা গিয়েছে, ধাবা মালিক প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক। গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে ১২ দফা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার মধ্যে খুনের চেষ্টা, মাদক মামলাও রয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে হইচই হতেই তোলাবাজি-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়েরের পর গ্রেপ্তার করা হয় ২ পুলিশ কর্মীকে। তাঁদের সাসপেন্ডও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।