সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথ দেখিয়েছিল নবীন পট্টনায়েকের ওড়িশা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে হকিতে শক্তিশালী করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। উন্নত পরিকাঠামো এবং খেলার সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা জুগিয়েছে প্রশাসন। বিনিযোগের ফলও মিলেছে হাতেনাতে। ৪১ বছর পর অলিম্পিকে হকিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন শ্রীজেশরা। আর এবার ভারতীয় কুস্তিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এগিয়ে এল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কুস্তি ফেডারেশন কর্তাদের। কুস্তির উন্নতির জন্য সবরকম ভাবে সাহায্য করবে প্রশাসন। ২০৩২ সাল পর্যন্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা নাকি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Govt) মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: AIFF প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলকে ‘সাম্মানিক’ পুরস্কারের প্রস্তাব, তোলপাড় ফুটবল রাজনীতি]
“ওড়িশা (Orisha) একটা ছোট্ট রাজ্য। তবু তারা হকিকে সাহায্য করতে কোনও কার্পণ্য করছে না। তাই আমরা ভাবলাম, ওড়িশা যদি ছোট একটা রাজ্য হয়ে এমন কাজ করতে পারে, তাহলে উত্তরপ্রদেশ অনেক বড় রাজ্য। তাহলে তারা কেন কুস্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না? মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। প্রস্তাব দিয়েছি, ২০২৪ অলিম্পিক পর্যন্ত প্রতি বছর ১০ কোটি টাকা খরচ করুন। তার পরের অলিম্পিক অর্থাৎ ২০২৮ অবধি সেই খরচের পরিমাণ নিয়ে যান বার্ষিক ১৫ কোটিতে। তার পরের ২০৩২ পর্যন্ত খরচ করুন প্রত্যেক বছর ২০ কোটি টাকা।” বলছেন কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)।
টোকিও অলিম্পিকে সাফল্যের মুখ দেখেছে ভারত। বজরং পুনিয়ার হাত ধরে যেমন এসেছে ব্রোঞ্জ, তেমন রবি কুমার দাহিয়া ঝুলিতে ভরেছেন রুপো। তাই কুস্তির পরিকাঠামোয় প্রশাসন আরও বেশি নজর দিলে এবং টাকা ঢাললে, সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর পথ প্রশস্ত হবে বইকি। ব্রিজভূষণ শরণ সিং মনে করেন, এভাবে চললে শুধুমাত্র তারকা কুস্তিগিররা অর্থের মুখ দেখতে পাবেন তাই নয়, ক্যাডেট স্তরের কুস্তিগিররাও স্পনসরশিপ পাবেন।