সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরখাদক নেকড়ের হানায় অতিষ্ঠ উত্তরপ্রদেশবাসী। ৪টি নেকড়ে ধরা পড়লেও এলাকাজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে দুই নেকড়ে। বহু চেষ্টার পরও তাদের আগে আনা যায়নি। এদিকে একের পর এক হামলা চলছে রাতের অন্ধকারে। এই পরিস্থিতিতে মানুষখেকো নেকড়েকে দেখা মাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ দিল যোগী সরকার।
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, গত ১৭ জুন থেকে নেকড়ের হামলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৭জন শিশু ও এক মহিলা। পাশাপাশি অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। একাধিক জায়গায় খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হয়েছে। তবে এখনও দুই নেকড়ের খোঁজ মেলেনি। নেকড়ের হানা রুখতে গ্রামে গ্রামে টহলদারি শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। এরই মাঝে সোমবার রাতে বাহরাইচ জেলার গিধরপুর নামে এক গ্রামে হানা দেয় নেকড়ে। সেই হামলায় আহত হয়েছে বছর পাঁচেকের এক শিশু। তড়িঘড়ি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। শিশুটি ঘাড়ে ও হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
[আরও পড়ুন: ইয়াগির তাণ্ডব, ফিলিপিন্সে ভয়ংকর ঝড়ের জেরে বন্যা ও ভূমিধস, মৃত ১৪]
এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় বার নেকড়ের হামলা হল উত্তর প্রদেশে। এর আগে বাহরাইচ জেলার মাশি এলাকায় ২ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয় নেকড়ের আক্রমণে। পাশাপাশি সিতাপুর জেলাতেই নেকড়ের হামলার খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি যখন এই পর্যায়ে তখন আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না যোগী সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেখা মাত্র যেন গুলি করা হয় দুই নেকড়েকে।
[আরও পড়ুন: ‘বিহারকে উন্নতির দিশা দেখাবেন ক্লাস নাইন ফেল তেজস্বী!’ কটাক্ষ পিকের]
পাশাপাশি নরখাদকের হামলায় একের পর এক মৃত্যুর জেরে ৩৫টি এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং রাজস্ব বিভাগকে। সাধারণ মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার।