সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক সম্পর্ক করতে জোর করেছিলেন শাশুড়ি! আপত্তি করায় ব্লেড নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন পুত্রবধূকে। আঘাতের পর আঘাত হেনে জখম করে দেন তাঁকে। এমনই অভিযোগ তুললেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক মহিলা। কেবল শাশুড়িই নয়, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আগ্রায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে গাজিপুর জেলার অলোক উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযোগকারিণীর। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর শাশুড়ি তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। বাধা দেওয়ায় চড়াও হয়েছিলেন ব্লেড নিয়ে। তার পর মহিলার হাতে আঘাত করতে থাকেন। পাঁচটি বড় বড় ক্ষত তৈরি হয়েছিল ধারালো ব্লেডের কোপে। সেলাই পড়েছিল।
[আরও পড়ুন: ৩০০ কোটি টাকা আদায়ের ছক! নিট কাণ্ডে প্রকাশ্যে অভিযুক্তের গোপন ভিডিও]
এরই পাশাপাশি মহিলার অভিযোগ, তাঁকে একটা ঘরে আটকে রাখা হত। তাঁর পোশাক কেড়ে নিয়ে একই পোশাকে দিনের পর দিন থাকতে বাধ্য করা হত। সেই সঙ্গে পণের জন্য দেওয়া হত চাপ। চলত অকথ্য নির্যাতন। ২০২৩ সালে ওই গৃহবধূ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এর পরই অশান্তি চরমে ওঠে। সন্তানটির বাবা কে, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে মারধর করতে থাকেন তাঁর স্বামী। সন্দেহ প্রকাশ করতে থাকেন সন্তানটি তাঁর নয়। এর পর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।
পরে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের তরফে আপসের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ির লোক সেখানে গেলে ফের বচসা হয়। এর পরই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।