সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যখন উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ, তখনও পরিবারের 'সম্মান' রক্ষায় খুন হতে হয় মেয়েদের। কার্যত নিজের ইচ্ছায় বাঁচলেই মরতে হয়। উত্তরপ্রদেশের এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক জানার পরে, তাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। এমনকী নিজের মেয়ের দেহ টুকরো টুকরো করার অভিযোগ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।
ভয়ংকর এই ঘটনা বাহারাইচ জেলার মোতিপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের। এএসপি গ্রামীণ পাবিত মোহন ত্রিপাঠী জানান, অভিযুক্তের নাম নইম খান। মোতিপুর জেলার মাতেহি গ্রামের ওই ব্যক্তি মেজাজ হারিয়ে সোমবার নিজের ১৭ বছরের মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করেছেন। গলা কেটে হত্যার পর ধর থেকে মুন্ডু, হাত, পা আলাদা করেন নইম। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের পর টুকরো টুকরো লাশের পাশে দীর্ঘ সময় বসেছিলেন নইম। পুলিশকর্তা জানান, নাবালিকর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে। দুবার সে বাড়ি থেকে পালিয়েও যায়। এই 'অপরাধে'ই এদিন বাবার হাতে খুন হতে হয়েছে নাবালিকাকে।
[আরও পড়ুন: ‘লজ্জিত ও দুঃখিত…’, ‘বোনাস’ মন্তব্যে ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চনের ভিডিও বার্তা]
হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জেরায় নইম জানিয়েছেন, মেয়ের স্বভাব চরিত্র ভালো ছিল না। এর প্রভাব পড়েছিল অন্য ছেলেমেয়েদের উপরে। ফের বাড়ি ছেড়ে পালানোর সুযোগ খুঁজছিল। এই কারণেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে খুন করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত মামলা দেওয়া হবে।