সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে মহিলা ও শিশুদের উপর একের পর এক নির্যাতনে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর যে, এবার নির্যাতনের শিকার মহিলা পুলিশ হেড কনস্টেবলই। করবা চৌথ ব্রত পালন করতে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃতা, ধর্ষিতা হন তিনি।
জানা গিয়েছে, ধর্ষিতা পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি কানপুরের সেন-পশ্চিমপাড়া এলাকায়। কর্মস্থল অযোধ্যা থেকে করবা চৌথ পালনের জন্য কানপুরে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাস্তায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। লিফট দেওয়ার নামে বাইকে তুলে মহিলাকে গ্রামের বাইরে নির্জন মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দ্র জানিয়েছেন, “ওই মহিলা পুলিশ কর্মী অযোধ্যা রিজার্ভ পুলিশ লাইনে কর্মরত। শনিবার তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ধর্মেন্দ্র পাসোয়ান নামে এক প্রতিবেশীর বাইকে ওঠেন তিনি। গন্তব্যে না পৌঁছে ধর্মেন্দ্র তাঁকে নির্জন মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন, চিৎকারও করেন। কিন্তু আশপাশে কেউ ছিল না। প্রতিরোধের সময় মহিলা ধর্মেন্দ্রর আঙুল কামড়ে দেন, তাঁর মারে অভিযুক্তর একটা দাঁতও ভেঙে যায়। পরে কোনও মতে পালিয়ে ওই কনস্টেবল নিকটবর্তী ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।”
অন্যদিকে, যোগীরাজ্যেই ললিতপুরের জাখৌরা গ্রামে ১০ বছরের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে বালিকাকে নিগ্রহ করে এক যুবক। পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে চিহ্নিত করা যায়নি। বালিকাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মাদক খাইয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে চলন্ত গাড়িতেই এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় একটি দোকানে গিয়েছিল নির্যাতিতা কিশোরী। তেষ্টা পাওয়ায় জল চাইলে অভিযুক্তদের মধ্যে এক যুবক তাকে জল এগিয়ে দেন। অভিযোগ, সেই জলেই মাদক ছিল। জল খেয়ে কিশোরী প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে গাড়িতে তুলে চলন্ত গাড়িতেই ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।