সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুল ইঞ্জেকশনের কারণে মৃত্যু হয়েছে নমাসের এক অন্তঃসত্ত্বার। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই প্রাণ হারিয়েছে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানও। এই মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক বেসরকারি হাসপাতাল ও সেখানকার দুই ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক। মামলা দায়ের করে তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ভাদোহীর। মৃত আঁচল নমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত সোমবার প্রসব বেদনা উঠলে আঁচলকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের জামাইবাবু অঙ্কিত কনৌজিয়া আওরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে সুখটান! বিমানের মধ্যেই সিগারেটে দম দিয়ে হাজতে যাত্রী]
পুলিশ সূত্রে খবর, অঙ্কিতই ওইদিন আঁচলকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক বিনয়কুমার পাণ্ডে ও শিব বাহাদুর যাদব অস্ত্রোপচারের জন্য ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তা দিয়েও দিয়েছিলেন অঙ্কিত। অভিযোগ, তার পরই আঁচলকে একটু ভুল ইঞ্জেকশন দেন তাঁরা। মৃত্যু হয় বছর তেইশের ওই তরুণী ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের। কিন্তু মৃতের পরিবারকে জানানো হয় হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। এমনকী এই বলেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দুই অভিযুক্ত চিকিৎসক।
এই ঘটনায় নিয়ে ভাদোহীর চিফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও) সন্তোষ কুমার চাক জানান, ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ। হাসপাতালের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ওই হাসপাতালটির কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের সার্টিফিকেটও ভুয়ো। মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অজ্ঞান করার জন্য ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আওরাই থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুজনকে খুঁজে গ্রেপ্তার করা হবে।