সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিকে শুধু ঘোলাটে জল আর কাদা। শক্ত মাটি পাওয়াই দুষ্কর। উত্তরাখণ্ডে এমন পরিস্থিতিতেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP)। রবিবার থেকে একটানা কাজ করে চলেছেন জওয়ানরা। “জোর লাগাকে হেইসা” স্লোগান দিয়েই সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা মানুষকে টেনে বার করে আনছেন। তাঁকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই একটি ভিডিও। ITBP জওয়ানদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
[আরও পড়ুন: “AIMIM ঈশ্বর ছাড়া কাউকে ভয় পায় না, বিজেপির হিন্দুত্বর বিরুদ্ধে লড়ব”, হুঙ্কার ওয়েইসির]
রবিবার সকালে নামা তুষার ধসে (Glacier breaks) বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। জোশীমঠের কাছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর দ্রুত বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে নদীর পাড়ের বহু ঘরবাড়ি। আচমকা নামা ধসের ফলে চামোলির তপোবন বাঁধের কাছে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে পড়েছেন অনেকে। এভাবেই তাঁদের উদ্ধার করছেন ITBP জওয়ানরা।
রবিবার আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়াল জানান, রেনি গ্রামের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন কাজ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। বাকিদেরও খোঁজে চলছে তল্লাশি। লাগাতার এনটিপিসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে উদ্ধারকাজ চলছে বলেও জানান তিনি। সোমবার ITBP দেরাদুনের সেক্টর হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি অপর্ণা কুমার জানান, সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গটি প্রায় ১৮০ মিটার। তার ৭০ থেকে ৮০ মিটার পথ পরিষ্কার করা হয়েছে। অপর্ণা কুমারের অনুমান কাল থেকে প্রায় ৩০-৪০ জন কর্মী সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই DRDO’র বিজ্ঞানীদের একটি দল দেরাদুনে গিয়েছে।