সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবার প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখে কেঁপে উঠেছিল উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। হিমবাহে ফাটল ধরে দেবভূমির চামোলিতে ধেয়ে এসেছিল বিধ্বংসী হড়পা বান। সেই থেকে তপোবন টানেলে এখনও আটকে রয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ফের সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল উদ্ধারকাজ। ঋষিগঙ্গা নদীর (Rishiganga river) জল ফের বাড়তে শুরু করাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, ঋষিগঙ্গার জল বাড়তে শুরু করার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে তাদের তরফেও। এটিপিসির প্রোজেক্ট ডিরেক্টর উজ্জ্বল ভট্টাচার্য সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ”ড্রিলিং করতে করতে আমরা ৬ মিটার গভীরে পৌঁছনোর পরে বুঝতে পারি জল বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আর এগোনো আমাদের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। কেননা পাথর খুব নড়বড়ে হয়ে রয়েছে। তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আমরা সাময়িকভাবে ড্রিলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: নারী সুরক্ষায় নয়, ‘নির্ভয়া ফান্ডে’র অধিকাংশ টাকা খরচ হয়েছে অন্য খাতেই! দাবি রিপোর্টে]
আইটিবিপির ডেপুটি ইনস্পেক্টর অপর্ণা কুমার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরে বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও এখনও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে লম্বালম্বি ড্রিল করা হচ্ছে। কিন্তু আপাতত নদীর জল বাড়তে থাকায় কাজ বন্ধ করে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এদিন নদীর জল বাড়তে থাকার পরে দ্রুত উদ্ধারকারীরা ফিরে আসেন। ড্রিলিং যন্ত্রও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
গত রবিবার আচমকাই তুষারধসের ফলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র জানিয়েছেন, হিমবাহে ফাটলের ফলে দুর্ঘটনার দাবি করা হলেও ঠিক সেই কারণে তা ঘটেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক লক্ষ টন বরফ এক পাহাড়ের চুড়ো থেকে হঠাতই নেমে এলে তা মুহূর্তে এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে যে ছবি দেখিয়েছেন তাতে ধসের উৎসস্থলে কোনও হিমবাহে ফাটল ধরার চিহ্ন নেই বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত।