সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়নের জেরে সভ্যতার অকালমৃত্যুর মুখে দুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে গাছ বাঁচানো তথা বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তখন দেশের অন্যতম সংরক্ষিত অরণ্য জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের (Jim Corbett National Park) হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধ নির্মাণ চালিয়েছে খোদ উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট (Uttarakhand High Court)। বিচারপতিদের প্রশ্ন, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দেওয়া হবে না কেন?
২০২১ সালে জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের নাম পরিবর্তনের তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। জানান, করবেটের নাম বদলে রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান রাখা হবে দেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চলের। অভিযোগ, ২০১৭-২১-এর মধ্যে জাতীয় উদ্যানের ৬ হাজার কাটা হয়েছে। সেখানে পর্যটকদের টাইগার সাফারির জন্য নির্মাণ কাজ চালায় রাজ্য সরকার। এছাড়াও অরণ্যের একাংশকে পাঁচিলে ঘেরার জন্যও গাছ কাটা পড়ে।
[আরও পড়ুন: সীমা হায়দারের পুনরাবৃত্তি? কোলের সন্তান নিয়ে স্বামীর জন্য ভারতে বাংলাদেশি যুবতী]
যাবতীয় অভিযোগ এনে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন দেরাদুনের বাসিন্দা অনু পন্থ। বৃক্ষনিধন এবং নির্মাণকাজ চলে হরক সিং রাওয়াত রাজ্যের বনমন্ত্রী থাকাকালীন। শুনানিতে আদালত রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায়, অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? সরকারি কৌশলী সাফাই, এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য রাজ্যের মুখ্যসচিব আদালতে পেশ করবেন।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারি এড়াতে পালাচ্ছিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত দিল্লির আধিকারিক! প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ]
যদিও এমন উত্তরে উত্তরখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতিদের মন গলেনি। সরকারি নির্মাণ কাজের জেরে ৬ হাজার গাছ কাটার অভিযোগে, তৎসহ এমন কাণ্ডের পরেও কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবাক হন তাঁরা। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে আদালত প্রশ্ন তোলে, এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে না কেন? এই মামলা পরবর্তী শুনানি ১ সেপ্টেম্বর-এ।