সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে এক নার্সকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরাখণ্ডের নির্যাতিতার বয়স ৩৩। উত্তরাখণ্ডে এক বেসরকারি হাসপাতাল কাজ করতেন তিনি। কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা গদরপুরের ইসলামনগরের বাসিন্দা। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের এক বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বিলাসপুর কলোনিতে তাঁর বাড়ি। তাঁর এক ১১ বছরের মেয়েও আছে। ওই মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ৩০ জুলাই প্রতিদিনের মতো হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন, অর্থাৎ, ৩১ জুলাই তাঁর বোন একটি নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: হিন্দু-মুসলিম জনবিন্যাসের পরিবর্তনে বিপদ বাড়ছে অসমের! স্বাধীনতা দিবসে শঙ্কিত হিমন্ত]
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর এক সপ্তাহ পর, উত্তরপ্রদেশের এক ফাঁকা জমি থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধর্মেন্দ্র নামে উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক শ্রমিককে, রাজস্থানের যোধপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ওই মহিলাকে শেষ কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছিল, তা খুঁজে বের করেন পুলিশকর্মীরা। মৃতার চুরি যাওয়া মোবাইলটি কোন জায়গায় রয়েছে, সেটিও চিহ্নিত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই রাজস্থানের যোধপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। ধৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জেরায় স্বীকার করেছেন অপরাধের কথা।