গোবিন্দ রায়: দুবছর আগে টিউশন পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তার পর থেকে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বছর ষোলোর সুদৃপ্ত পালের আর কোনও সন্ধান পায়নি তাঁর পরিবার। তাই বাধ্য হয়ে এবার হারানো ছেলের সন্ধান চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বাবা-মা। আগামী ১২ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরপাড়ার (UttarPara) বাড়ি থেকে পড়তে বেরোয় সুদৃপ্ত। সেই দিন থেকেই তার কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না বাবা-মা। ঘটনায় স্থানীয় উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। পুলিশ নিখোঁজের মোবাইল ট্রাক করে হুগলিতে তার শেষ উপস্থিতির কথা জানতে পারে। তার পরেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। সিআইডিকে (CID) জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি পরিবারের।
[আরও পড়ুন: প্রাতঃকৃত্যে গিয়ে গর্তে পড়ে মৃত্যু! কাশী বোস লেনে মহিলার দেহ উদ্ধারে জারি ধোঁয়াশা]
এদিকে নিখোঁজ পড়ুয়ার পরিবার জানিয়েছে, হায়দরাবাদ থেকে একটি অচেনা নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন আসে তাঁদের কাছে। তা পুলিশকে জানানো হয়। এমনকী ছেলেটির আধার বায়োমেট্রিকের ম্যাসেজ এলে তাও জানানো হয়। তার সত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও আদালতে রাজ্যের দাবি, তদন্তে একটি ভাঙা দাঁত পাওয়া গিয়েছে তা ফরেনসিক পরীক্ষাতেও পাঠানো হয়। এদিন মামলায় তার রিপোর্টও চেয়েছে আদালত।
মামলাকারীর আইনজীবী রেশমী ঘোষ ও শতাব্দী দাস জানান, "উত্তরপাড়ার বাড়ি থেকে পড়তে বেরিয়ে আর ফেরেনি একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সুদৃপ্ত। সেদিন থানায় জানানো হলে পুলিশ নিখোঁজের মোবাইল ট্রাক করে হুগলিতে তার শেষ উপস্থিতির কথা জানতে পারে। তবে কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার দুদিন পর, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।" আইনজীবীদের দাবি, দুবছর কেটে গেলেও পুলিশ নিস্ক্রিয়। এপর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের কোনও সন্ধান দিতে পারেনি।