সুকুমার সরকার, ঢাকা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিপদ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন ও ডেল্টা স্ট্রেন। এহেন পরিস্থিতিতে রেস্তরাঁয় খেতে গেলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লাগবে বলে ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[আরও পড়ুন: ব়্যাব কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার আরজি, আমেরিকাকে চিঠি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর]
সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক জানান, করোনার টিকা না নিলে রেস্তরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। ১৫ দিন পর থেকে রেস্তরাঁয় খেতে হলে টিকা নেওয়ার সনদ বা কার্ড দেখাতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশিকা জারি করবে। তিনি বলেন, “বৈঠকে গণ টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন। অফিসে যেতে পারবেন। বিভিন্ন কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে পারবেন, মাস্ক পরা অবস্থায়। কিন্তু টিকা যদি না নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন না। সেখানে খেতে গেলে টিকার সনদ দেখাতে হবে। টিকা নিলে তবেই গ্রাহককে পরিষেবা দেবে রেস্টুরেন্ট।
উল্লেখ্য, করোনার ডেলটা স্ট্রেনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে। গত ডিসেম্বরের প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। কিছুদিন ধরে সংক্রমণে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বলে রাখা ভাল, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই গত রবিবার থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবারও বুস্টার ডোজের প্রথম তালিকায় নাম ছিল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তার। তিনি দেশে প্রথম করোনার টিকা নিয়েছিলেন। বুস্টার ডোজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে করোনা যোদ্ধাদের। বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি আধিকারিক-কর্মচারী, সংবাদমাধ্যমকর্মী ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বুস্টার ডোজ পাবেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। যা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে প্রায় সকলেরই। করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এই পরিস্থিতিতে আর কতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন চালু রাখা যাবে, তা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ফের অনলাইনেই পড়াশোনার ইঙ্গিত দেন হাসিনা।