সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Covid) ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত হচ্ছেন সকলেই। যাঁরা টিকা (Vaccine) নেননি তাঁরা যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়ার পরেও অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, চলতি টিকা কি আদৌ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকরি? এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার খানিকটা আশ্বস্ত করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন (Dr. Soumya Swaminathan)। জানালেন, ওমিক্রন রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ নয় টিকা।
এদিন ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, “বহু দেশে টিকা পেয়েছেন যাঁরা তাঁরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বটে, ফলে আক্রান্তের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো হারে বাড়ছে। তারপরেও সংক্রমণ রুখতে টিকার গুরুত্ব রয়েছে। যেহেতু টিকার কারণেই সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে না।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা, তড়িঘড়ি প্রস্তুতি স্বাস্থ্যদপ্তরের, জোর পরীক্ষায়]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বুধবার একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন, “যেমনটা আশা করা হয়েছিল, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টি সেল (T-Cell) ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে। এই টি সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। ফলে এখনও যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা শীঘ্রই করোনার টিকা নিন।”
তবে টিকার কার্যকারিতা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা, তা বেশ কিছু বিষয়ের উপরেও নির্ভর করে বলে এদিন জানান ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন। বলেন, “বয়স ও শরীরে অন্য রোগের উপস্থিতির উপর অনেকটাই নির্ভর করে টিকার কার্যকারিতা। যত বয়স বাড়ে তত শরীরে বাসা বাঁধা রোগ তার উপস্থিতি জানান দেয়। ফলে বেশি বয়সিদের করোনার নয়া স্ট্রেনে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।”
[আরও পড়ুন: বর্ষবরণের আগে উদ্বেগের নাম ওমিক্রন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে লাফিয়ে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা]
টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী আরও বলেন, “টিকাকরণের পর কিছুটা সময় অতিবাহিত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ধীরে ধীরে। টিকাকরণের পরেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণ এটাই। বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ছে ওমিক্রন। এই কারণেই নয়া স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন আরও বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি।”