সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত উপত্যকায় কড়া পাহাড়া চারদিকে৷ কিন্তু, মনে বিশ্বাস নিয়ে আজও ছুটে যান ভক্তেরা৷ পৌঁছে যান কাটারা পর্যন্ত৷ সেখানেই একটু বিশ্রাম নিয়ে এখান থেকেই এন্ট্রি করিয়ে নিতে হয় বৈষ্ণোদেবীর পাস৷
সাত কিলোমিটার চলার পর পরবে আঁধকুয়ারী মন্দির৷ দেবী না কি সেখানে খুবই জাগ্রত৷ গুহামন্দিরে দেবীর তিনটি ভিন্ন রূপ- মহাকালী, বামে মহাসরস্বতী আর মাঝে মহালক্ষ্মী৷ পুজোর কোনও প্রথা নেই৷
বৈষ্ণবদেবীর মন্দির দর্শন করে আরও আড়াই কিলোমিটার উঁচুতে ভৈরবনাথের মন্দির দেখে নিতে পারেন৷ সন্ধ্যার দিকে কাটরার বাজারটা ঘুরে নিতে পারেন৷ এখানে সস্তায় জাফরান, আখরোট, আমন্ড পাবেন৷
রাতটা বিশ্রাম করে পরের দিন সকালে যাত্রা শুরু অমৃতসরের দিকে৷ সকালে অটো বা ট্যাক্সি ধরে বেরিয়ে পডুন দুর্গামন্দিবের উদ্দেশে৷ দুর্গিয়ানা বা দুর্গামন্দির স্বর্ণমন্দিরের আদলে সরোবরের মাঝে এই মন্দিরটি৷
মন্দিরের কিছুটা এগোলেই দেখতে পাবেন বিখ্যাত স্বর্ণমন্দির৷ এখানে লঙ্গরখানায় বিনা খরচে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে৷ তারপর জালিয়ানওয়ালা বাগে৷
দুপুরের খাবার খেয়ে যেতে হবে ওয়াঘা সীমান্ত৷ বর্ডারের এক কিলোমিটার আগে নেমে বিএসএফের চেকপোস্ট পার হয়ে স্টেডিয়ামে যেতে হবে৷ দুপুর ৩টের পর স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ হয়ে যায়৷
ফেরার পথ –
রাতে বিশ্রাম করে পরদিন সকাল ছটায় অমৃতসর থেকে ডাউন ১২৩৫৮ অমৃতসর-কলকাতা ট্রেন ধরে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা৷ দ্বিতীয় দিন দুপুর ১১টায় কলকাতায়৷
সফর বৃত্তান্ত –
পুরো সফরটা ১৫ দিনের৷ কাশ্মীর থেকে অমৃতসর মাথাপিছু খরচ ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকার কমবেশি৷
The post বৈষ্ণোদেবী থেকে হরমিন্দর সাহিবের পবিত্র যাত্রা appeared first on Sangbad Pratidin.