সুব্রত বিশ্বাস: ‘দেবী শ্রোতস্বিনী ভগবতী গঙ্গে…’, বলে ডুব দিলে পাপ খণ্ডন হয়। আর তা যদি বিশ্বনাথ ধামে বসে গঙ্গায় ডুব দেওয়া যায় তবে কথাই নেই। কিন্তু তীর্থযাত্রীদের চাপে ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। তাই এবার পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বারাণসীতে শুরু হবে পরিবেশ বান্ধব ‘গ্রিন বোট’ পরিষেবা।
[আরও পড়ুন: লন্ডন ফেরত ১৫ যাত্রীর শরীরে নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা! চাঞ্চল্য মুম্বইয়ে]
পাপ খণ্ডন তথা পুণ্য অর্জন করতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা কাশীতে পূণ্যতোয়া গঙ্গায় ডুব দিতে ছুটে যান। শৈব তীর্থ বেনারস বা বারাণসী এজন্য পর্যটন স্থলও বটে। শিবের আরাধনার পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষে ভ্রমনও বেনারসে তাৎপর্যপূর্ণ। ৮৮টি ঘাট নিজেদের আধ্যাত্মিক মহিমা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে। ঘাটে গঙ্গা স্নান থেকে সন্ধ্যারতি আকর্ষণীয়। পর্যটকরা গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের জন্য নৌকাবিহার করেন। এবার এই নৌকাই হয় উঠছে পরিবেশ বান্ধব। ডিজেলে নয় চলবে প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে। সিএনজি ইঞ্জিন চালিত গ্রিন বোটের দেখা মিলবে কয়েক মাস বাদেই।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বারাণসীর খিড়কিয়া ঘাটে তৈরি হচ্ছে। এখানেই থাকবে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিফিলিং স্টেশন। এই গ্রিন বোটের আওতায় ১হাজার ৮০০ নৌকাকে আনা হবে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০টি ডিজেল চালিত নৌকাকে গ্যাস চালিত নৌকোই রূপান্তরিত করা হবে। এবিষয়ে বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ জানান, আদি ধর্মনগরী বেনারস পর্যটন স্থল। অসংখ্য পর্যটক আসেন। গঙ্গা ভ্রমণ আকর্ষণীয়। প্রচুর নৌকো চলে গঙ্গায়। ডিজেল চালিত হওয়ায় গঙ্গা দূষিত হচ্ছে। এজন্য গ্যাস চালিত পরিবেশ বান্ধব বোট চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে খিড়কিয়া ঘাটে প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। সেখানেই প্রাকৃতিক গ্যাস রিফিলিং স্টেশন করা হবে। সিএসআর ফান্ডে নৌকার ডিজেল ইঞ্জিনগুলি বদলানোর কাজ হবে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। তারপরেই বেনারসের ঘাটে দেখা যাবে গ্রিন বোট।