নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য তথা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) সাংসদ মানেকা ও বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi) কি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন? এমন জল্পনাই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের। এমনকী, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা দুজনেই বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবেন বলেই ঠিক করেছেন। এবং তাঁদের এই সিদ্ধান্তের পিছনে তৃণমূলের ভূমিকা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে মা-ছেলের সম্পর্ক তলানিতে। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বরুণকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতেও দেখা গিয়েছে। মানেকা (Maneka Gandhi) বিশেষ মুখ না খুললেও বিজেপিতে অনেকদিন ধরে কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন তিনিও। বরুণ-মানেকার পাশাপাশি বাংলার চার বিজেপি সাংসদও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ১০-১৬ জুলাইয়ের Horoscope: স্বার্থান্বেষী সহকর্মীদের থেকে দূরে থাকুন এই রাশির জাতকরা, কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে?]
আবার কংগ্রেসের তিন লোকসভা সাংসদ এবং রাজ্যসভার চারজন প্রাক্তন সাংসদ নিয়মিত তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যে কোনওদিন তাঁরা কংগ্রেসের (Congress) হাত ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও প্রবল। যে তিন লোকসভার সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই রাজনীতির আঙিনায় অত্যন্ত পরিচিত মুখ। রাজ্যসভার যে সমস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ তৃণমূলের হাত ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাঁরা দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি-২৩-র সদস্য বলেই জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কংগ্রেসের একাধিক বর্তমান লোকসভার সাংসদ এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদদের সঙ্গে দলে যোগদানের বিষয়ে কথাবার্তা চলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এখনই তাঁদের নাম নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হোক, তা তাঁরা চান না বলেই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: মালবাজারে চলন্ত বাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতাবাঘ, তারপর…]
এদিকে, নতুন তিনজন জাতীয় মুখপাত্র নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজ্যের বর্তমান বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের নাম খুব শীঘ্রই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় জুড়তে চলেছে। দলে আরও তিন নতুন জাতীয় মুখপাত্র জোড়ার পিছনে ভিনরাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের সম্পর্ক রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। হিন্দিভাষী আজাদ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সাংমাকে এই কাজে বিশেষভাবে ব্যবহার করা বলেই নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা।