সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু সম্পর্ক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। তাতে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনই সম্পর্ক হয় শাশুড়ি ও বউমার। ‘মা’ ও ‘মায়ের মতো’, এই দুই শব্দের ভারসাম্য একটু বিগড়ে গেলেই সংসারে অশান্তি অবধারিত। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কীভাবে বজায় রাখা যায়? উত্তর দিলেন বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত সুজিতজি মহারাজ।
বেশ কিছু উপায়ের কথা বলেছেন সুজিতজি মহারাজ। তাঁর দাবি, এই বিষয়গুলি মেনে চললে শাশুড়ি ও বউমার সম্পর্কে মাধুর্য থাকবে। অভিজ্ঞ এই বাস্তু বিশেষজ্ঞের কথা অনুযায়ী –
১) বউমার জন্ম কুষ্ঠির অষ্টম ও দশম স্থানের গ্রহাধিপতিকে উৎসর্গ করে সেই দেবতার বীজমন্ত্র জপ উচিত শাশুড়ি মায়ের।
২) সংসারে শান্তি বজায় রাখতে খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী দানও করা উচিত।
৩) বাড়ির মন্দির বা ঠাকুরের জায়গাটি উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন।
৪) ঘরে যেন কোনও দুর্গন্ধ না থাকে। পারলে সুগন্ধী ধুপও জ্বালিয়ে রাখতে পারেন যাতে শাশুড়ি ও বউমা দু’জনেরই মন শান্ত থাকে।
[আরও পড়ুন: ভৃত্যের প্রেমে পড়লেন বাড়ির মালকিন! পাকিস্তানের এই প্রেমকাহিনি হার মানায় সিনেমাকেও]
৫) ছোট্ট বাম্বু প্লান্ট ঘরে রাখা খুবই ভাল। এটি ঘরে রাখলে যেমন শান্তি বজায় থাকে, তেমনই সংসারের শ্রী বৃদ্ধি হয়।
৬) পারলে একবেলার খাবার শাশুড়ির সঙ্গে খান। খাবার খেতে খেতে নানা কথা বলা যায়। একটু সময় একসঙ্গেও কাটানো যায়। একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দের কথাও জানতে পারবেন।
৭) ক্যাকটাস বা অন্য কাঁটা জাতীয় গাছ ঘরের অন্দরে এক্কেবারেই রাখবেন না। এতে শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৮) পারলে দিন শুরু করেন কোনও পশুকে খাবার দিয়ে। এতে সারা দিন ভাল কাটবে এবং মনও ভাল থাকবে। বাড়ির বউরা ছাদে বা উঠোনের কিছুটা জায়গায় পাখিদের জন্য খাবার ছড়িয়ে রাখতে পারেন।
৯) বাড়ির তুলসী গাছে অবশ্যই জল দেবেন। পারলে একটি ধূপ সেখানে জ্বালিয়ে রাখবেন।