ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপে আপাতত নিয়ন্ত্রণে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন। কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। অচলাবস্থা কাটার পরই ছুটিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার থেকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, এই পাঁচদিনের ছুটিতে দিল্লি যাবেন উপাচার্য।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) ওয়েবসাইটে উপাচার্যের ছুটির বিজ্ঞপ্তি দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, বুধবার থেকে আগমী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন তিনি। এই পাঁচদিনের বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ সামলাবেন শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, এই পাঁচদিনের ছুটিতে দিল্লি যাবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তাঁকে কেন্দ্রীয় শিক্ষাদপ্তর থেকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর। বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আলোচনার সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: এবার দল ছাড়ার পথে লকেট! জল্পনার মধ্যেই হুগলির সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে নাড্ডা]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাসপেনশন ও বহিষ্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হন পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের একাংশ। উপাচার্যের বাসভবন প্রতীচী ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও পরে হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্বভারতী চত্বর থেকে ৫০ মিটার দূরে ফের বিক্ষোভে শামিল হন পড়ুয়ারা। উপাচার্য পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে অনশনও শুরু করেন সংগীত ভবনের পড়ুয়ারা। হাই কোর্টে ধাক্কা খান উপাচার্য। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিশ্বভারতীর আন্দোলনে বহিরাগতদের ইন্ধন রয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের। সব মিলিয়ে বিতর্কের শিরোনামে চলে আসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
সূত্রের খবর, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অসন্তোষের ঘটনায় উপাচার্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তাই পাঁচদিনের ছুটিতে উপাচার্যের দিল্লি (Delhi) সফরের জল্পনা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আদৌ বিশ্বভারতীর উপাচার্য দিল্লি যান কিনা এবং কি আলোচনা করেন তিনি, সেদিকে নজর সকলের।