সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এককভাবে, রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে। এই অভিযোগে বারবার রাজ্যপাল (Governor) তথা আচার্যের বিরোধিতায় সরব রাজ্য সরকার। যাদবপুর (Jadavpur University) থেকে শুরু করে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত মোটেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ভালভাবে গ্রহণ করেনি। তাঁর নিযুক্ত উপাচার্যদের (VC) কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। ক্রমেই চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এরই মাঝে রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার তৃণমূলপন্থী উপাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য, অধ্যাপকরা রাজভবনের সামনে ধরনায় বসলেন। রাজভবনের নর্থ গেট থেকে ব্যানার মিছিল করলেন তাঁরা। অভিযোগ একটাই, শিক্ষাক্ষেত্রে আচার্যর হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার রাজভবনে (Rajbhaban)আচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় ‘দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরাম’। যার সদস্য প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। তাঁদের সকলের আপত্তি একটাই, আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের যা ভূমিকা, তা লঙ্ঘন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ‘অতিরিক্ত’ কাজ করছেন। তাঁর কোনও এক্তিয়ার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার। এছাড়া উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিজেই কীভাবে ওই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন আচার্য, তার নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধান মেনে কাজ করছেন না রাজ্যপাল। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা।
এদিন সকাল ১১টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে জমায়েত করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য, অধ্যাপকরা। তাঁরা মূলত ওয়েবকুপার অর্থাৎ তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। জমায়েতে ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল, প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্য়ালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। ধরনামঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন তাঁরা। এরপর নিজেদের দাবিতে ব্যানার নিয়ে নর্থ গেট থেকে মিছিল করা হয়। অন্যদিকে, এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে কারা যোগ দেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।