সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ্য, মৎস্য, মাংস- তিনটির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকলে তবেই পূণ্যের সুযোগ। ডিউটি মিলবে প্রয়াগরাজে। নচেৎ এবছর পূর্ণ কুম্ভে পূণ্যলাভ থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এমনই ফতোয়া উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিআইজি কেপি সিং জানিয়েছেন, ‘পূ্ণ্য মেলায় নিরাপত্তার জন্য ২০ হাজার পুলিশকর্মী থাকছেন, যাঁরা শুধুমাত্র নিরামিষাশী, সুরাপান থেকে শতহস্ত দূরে। এমন পুলিশকর্মীদের বেছে পাঠানো হচ্ছে প্রয়াগরাজে।`
মকর সংক্রান্তিতে যমুনা তীরবর্তী এলাহাবাদ শহর, যার পরিবর্তিত নাম প্রয়াগরাজ, সেখানকার কুম্ভমেলা বিশ্ববিখ্যাত। ১২ বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভ এবং ৬ বছরে অর্ধকুম্ভ ছাড়াও প্রতি বছর মেলা হয়ে থাকে। হিন্দুমতে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণ জীবনের পূণ্যত্ব প্রাপ্তির এক বড় সুযোগ। মকর সংক্রান্তির সময়ে যমুনার জল জীবনের পাপমুক্তি ঘটায়। তাই ফি বছরই কুম্ভমেলায় লাখ লাখ ভক্তের ঢল। ১৫ জানুয়ারির আগে, পরে নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় পুলিশকে। তারওপর এবছর আবার অর্ধকুম্ভ। ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত তীর্থস্থানে এবছর বেশ কয়েকটি দেশের কোটি কোটি পূণ্যার্থীর ভিড় জমবে বলে ধারণা পুলিশের।
[নারকীয়! ‘পিশাচসিদ্ধ’ হতে মা-র রক্ত পান করল ছেলে]
২০১৩র অর্ধকুম্ভে ভিড় এবং পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে চায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেইমতো পূণ্যার্থীদের নিজস্ব পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভাবনায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। আমিষাশী কেউ থাকলে পাছে হিন্দু তীর্থস্থান অপবিত্র হয়ে ওঠে, সেই ভয়ে কাঁটা যোগীর রাজ্যের পুলিশ।আর তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার নিরামিষাশী পুলিশকর্মীকে। এমনিতেই যোগী জমানায় গোবলয়ে নানা ছোটখাটো ঘটনার মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদ বেশ খানিকটা মাথা চাড়া দিচ্ছে। একাধিক ঐতিহাসিক স্থানের নতুন করে নামকরণে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সমালোচিত গোরক্ষনাথ মঠের প্রাক্তন প্রধান মহান্ত। তাঁর রাজ্যে কুম্ভমেলার নিরাপত্তায় পুলিশের নিরামিষাশী বাহিনী মোতায়েন যে তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে, তা বোঝা খুব কঠিন কিছু নয়।