সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশ জুড়ে পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু তৈরি করছে চিন (China), উপগ্রহচিত্র সূত্রে একথা প্রকাশ্যে এসেছিল সম্প্রতি। ভারতীয় সেনার আতঙ্ক বাড়ানো নয়া সংবাদ হল, ৪০০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছে লালফৌজ। রীতিমতো হালকা ওজনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে ওই সেতুর উপর দিয়ে।
এনডিটিভি প্রকাশ করেছে নয়া এই উপগ্রহচিত্র। গত ২২ জুলাইয়ের ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, ব্রিজের উপর দিয়ে হালকা ওজনের গাড়ি চলাচল করছে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সাল থেকেই প্যাংগং হ্রদের এই অংশ চিনা দখলে। ২০২০ সালের মে মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশ জুড়ে সেতু তৈরির কাজে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। উপগ্রহচিত্র বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সিমোনের বক্তব্য, নতুন সেতুর মাধ্যমে চিনা সেনার কাছে অনেক দ্রুত সেনার রসদ এবং সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
[আরও পড়ুন: ওয়ানড় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মোদির]
নতুন ব্রিজটি চিনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ৫০-১০০ কিমি অবধি দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে সময়ও লাগবে অনেকটা কম। যুদ্ধের সময় বড় সুবিধা পাবে পিপলস আর্মি। যে কারণে ভারত বারবার বিরোধিতা করেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লালফৌজের তৎপরতা নিয়ে। যদিও আখেরে লাভ হয়নি। লাদাখ সীমান্তের নিজের কাজ চালিয়ে গিয়েছে জিং পিং সরকার।
[আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল, লাইনচ্যুত হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি, মৃত অন্তত ২]
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জুনে প্যাংগং হ্রদের কাছে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। যার পর দফায় দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষ কিছুটা সমঝোতায় রাজি হলেও উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমণ হয়নি কখনই। এর মধ্যেই ওই এলাকায় চিনের সেতু বানানোর অভিযোগ ওঠে। যা সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই খবর। একই সময় কাশ্মীর জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, কার্গিলের মতোই কি উপত্যকায় বড় কোনও পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান? জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (SSG) অন্তত ৬০০ কমান্ডো উপত্যকার কূপওয়াড়া-সহ একাধিক জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছে। ভারতের পুরনো দুই শত্রু চিন ও পাকিস্তানের দ্বিমুখী আক্রমণ পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না তাও এক প্রশ্ন।