সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন আগে মেঙ্গালুরুর অটো বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যের আধার (Aadhar) কার্ড ব্যবহার করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। কেবল এই ঘটনাই নয়, সাম্প্রতিক অতীতে আধারের তথ্য নকল করে বা জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আধার সংস্থা UIDAI রাজ্য প্রশাসনগুলিকে সতর্ক হতে বলল। জানিয়ে দিল, কারও আধার জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভাল করে যেন তা যাচাই করে নেওয়া হয়।
ই-আধার, আধার পিভিসি কার্ড, এম-আধার বিভিন্ন ভাবেই জমা দেওয়া যায় আধার। যেভাবেই তা জমা দেওয়া হোক না কেন, ঠিকমতো করে যাচাই করা দরকার বলে জানাচ্ছে UIDAI। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অসামাজিক ও অসৎ ভাবে পরিচয়ের নথিকে ব্যবহার করতে আধারকে যাতে না ব্যবহার করা যায় সেবিষয়ে সতর্ক হতে হবে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১২ অঙ্কের সংখ্যা মানেই তা আধার নম্বর এমন নয়। এটা সব সময়ই খেয়াল রাখা দরকার।
আধার নম্বর নিয়ে জালিয়াতি করলে তা আধার আইনের ৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাশাপাশি জরিমানাও করা হয় অভিযুক্তকে। একথা মনে করিয়ে মন্ত্রকের নির্দেশ, সমস্ত রাজ্য প্রশাসন যেন আধার জালিয়াতি রুখতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে। এপ্রসঙ্গে UIDAI জানিয়েছে, আধারের ‘কিউআর কোড’টি ‘এম আধার’ নামের অ্যাপটির মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে। পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, আইফোনেও আধার কিউআর কোড স্ক্যানার দিয়েও যে এটা যাচাই করা যায় তাও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেঙ্গালুরুতে যে বিস্ফোরণ হয়, সেখানে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির আধার কার্ড পাওয়া যায়। যদিও কার্ডটির মালিক জানিয়েছেন, তিনি কখনওই ওখানে যাননি। বরং তিনি কার্ড হারিয়েছেন আগেই। তাঁর আশঙ্কা, ওই কার্ড ব্যবহার করেই জঙ্গিরা নিজেদের বাঁচিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সম্ভবত। এই অবস্থায় কেন্দ্রের নির্দেশ থেকে পরিষ্কার, আধার জালিয়াতি রুখতে মরিয়া সরকার।