সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। বুধবার সকাল ৭.৩০ মিনিট দেহাবসান হয় ৯৮ বছরের হিন্দি সিনে জগতের ওই দিকপালের।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ। মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভরতি ছিলেন তিনি। গত ৩০ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কয়েক দিন আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে টুইটারে জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু।
[আরও পড়ুন: ‘আশা করি ঈশ্বর আগামী বছর রথযাত্রার অনুমতি দেবেন’, পুরীর রথ নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
এর আগে মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য মে মাসে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল তাঁকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই করোনা আবহে গত বছর মার্চ থেকেই কার্যত আইসোলেশনে কাটিয়েছেন দিলীপ কুমার। সঙ্গে ছিলেন সায়রা বানুও। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ফের তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়।
১৯২২ সালে অবিভক্ত ভারতের কিসসা খাওয়ানি বাজারের জমিদার তথা ব্যবসায়ী লালা গুলাম সারওয়ার খান ও আয়েশা বেগমের ঘরে জন্ম প্রবাদপ্রতীম অভিনেতার। জন্মসূত্রে তাঁর নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। রুপোলি পর্দায় তিনিই পরিচিত দিলীপ কুমার হিসেবে। তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন রাজ কাপুর। ছোটবেলা থেকেই দু’জনের বন্ধুত্ব। বাবার সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে বাড়ি ছাড়েন দিলীপ কুমার। পরিচয় গোপন করে ক্যান্টিন কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন। পরে আর্মি ক্লাবে স্যান্ডউইচও বিক্রি করেন। এভাবেই ৫০০০ টাকা জমিয়ে মুম্বইয়ে আসেন।
সিনেমার জগতে দিলীপ কুমারের প্রবেশ দেবিকা রানির বম্বে টকিজ প্রযোজনা সংস্থার কর্মী হিসেবে। মাসিক ১২৫০টাকার বিনিময়ে এই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেখানেই অশোক কুমার ও শশধর মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পান। অভিনেতা দিলীপ কুমারের বলিউডে প্রবেশ ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে নায়ক হিসেবে তাঁকে পরিচিতি দেয় ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’। তারপর থেকেই বলিউডে শুরু হয় দিলীপ কুমারের ‘নয়া দওর’। ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘মধুমতী’ থেকে ‘ক্রান্তি’, ‘মশাল’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘কিলা’ প্রায় পাঁচ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। তিনিই প্রথম ছবি পিছু ১ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতে শুরু করেন।