কৃষ্ণকুমার দাস: বিনোদুনিয়ায় ফের নক্ষত্রপতন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর প্রয়াত মনু মুখোপাধ্যায় (Manu Mukherjee)। রবিবার সকালে ইহলোক ছেড়ে অমৃতলোকের পথে পাড়ি দেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ছিল হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। নবতিপর অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।
১৯৩০ সালে কলকাতায় জন্মেছিলেন মনু মুখোপাধ্যায়। সৌরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ই নাম ছিল তাঁর। তবে খ্যাতি পেয়েছিলেন মনু নামেই। ভারতী স্কুলে পড়তেন তিনি। ১৯৪৬ সালে পাশ করেন ম্যাট্রিক। এরপর মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে ভরতি হন অভিনেতা। সেখান থেকেই পাশ করেন আইএ। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট থেকে অভিনয়ের প্রতি আলাদা টান অনুভব করতেন। পাড়ায় মহিলা চরিত্রে বহু নাটকেই অংশ নিয়েছেন। বিশ্বরূপায় প্রম্পটার হিসাবে কাজে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। ‘ক্ষুধা’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেন। তারপর ধীরে ধীরে নেশাকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মৃণাল সেনের কাছে যান। তারপর ‘নীল আকাশের নীচে’ ছবির মাধ্যমে সিনে দুনিয়ায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেতা। এরপর সত্যজিৎ রায়, রোল্যান্ড জোফির মতো বিশ্বখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন মনু মুখোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ‘মছলিবাবা’র চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বর্ষীয়ান অভিনেতাকে বহু ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর বাংলা টেলিভিশনের অনন্য স্বীকৃতি টেলি সম্মানে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে জীবনকৃতী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভে শামিল অভিনেতা দিলজিৎ, শীতবস্ত্রের জন্য দান ১ কোটি টাকা]
দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। হৃদযন্ত্র-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। রবিবার সকালেই শেষ হল জীবনযুদ্ধ। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদুনিয়া। অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আটির্স্ট ফোরাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।