সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাবনাচিন্তা ছিলই। এবার সেই ভাবনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন চিকিৎসকরা। বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর ঝুঁকি নিলেন না, তাঁকে দেওয়া হল আংশিক ভেন্টিলেশন (Partial Ventilation) সাপোর্টে। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ অভিনেতার ভেন্টিলেশন চালু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। করোনামুক্ত হলেও এনসেফেলোপ্যাথি রয়েছে তাঁর। এছাড়া সেকেন্ডারি নিউমোনিয়াতেও তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। আগামী ৭২ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
গত ৬ অক্টোবর করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত পঁচাশি বছরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে মিন্টো পার্ক লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। দিনকয়েকের মধ্যে করোনাকে কাবু করতে পারলেও সংক্রমণের জেরে মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যা এখনও মেটেনি। রবিবার থেকেই জল্পনা চলছিল, তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হতে পারে। তবে রবিবার গোটা দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা নজরে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। সোমবার সকালেও ভেন্টিলেশন চালু করা হয়নি। দুপুর ৩টে নাগাদ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে ‘এয়ার ওয়ে প্রোটেকশন’ দিতে চালু হয় আংশিক ভেন্টিলেশন। এই খবরে মনমরা তাঁর অনুরাগী মহল, বাড়ছে উদ্বেগ।
[আরও পডুন: রাজনীতিতে অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগকারী পায়েল ঘোষ, আতাওয়ালের দলে যোগ]
এদিন সকালেও মেডিক্যাল বোর্ডের সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, অশীতিপর অভিনেতার সাড়া দেওয়ার প্রবণতা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমশ কমেছে। যত সময় যাচ্ছে, আরও খারাপ হচ্ছে শরীর। গ্লাসগো কোমা স্কেলের সূচক ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। কোনও ব্যক্তির মস্তিষ্কের স্নায়ু কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, গ্লাসগো কোমা স্কেলে সেটা পরিমাপ করা হয়। প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের এই সূচকের মাত্রা হয় ১৫। কয়েকদিন আগেই সৌমিত্রর তা ৯ -এ নেমে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময়ে তাঁকে পর্যবেক্ষণের পরই আংশিক ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সিস্টেম চালু করা হয়। অনুরাগীদের এখন একটাই প্রার্থনা, সমস্ত রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় করে ফিরে আসুন সেলুলয়েডের ‘ফেলুদা’।