সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৮ বছর বয়সে প্রয়াত সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম (Vani Jayaram)। শনিবার চেন্নাইয়ের (Chennai) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বর্ষীয়ান গায়িকার দেহ। তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত মাসেই পদ্ম সম্মানে ভূষিত হন তিনি। মূলত দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা হলেও হিন্দি ছবিতে ‘বোলে রে পাপিহা’র গান তাঁকে সর্বভারতীয় খ্যাতি এনে দিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতোই শনিবার সকালে পরিচারিকা চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাটে আসেন। যদিও একাধিকবার কলিংবেল বাজালেও সংগীতশিল্প দরজা খোলেননি এদিন। এর পরে শিল্পীর এক আত্মীয়কে ফোন করে বিষয়টি জানান পরিচারিকা। ওই আত্মীয় পুলিশে খবর দেন এবং নিজেও উপস্থিত হন ফ্ল্যাটে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাণীর দেহ উদ্ধার করে। সরকারি রয়াপেট্টা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ফের জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার খেতাব মোদির মুকুটে, পিছনে বাইডেন-সহ তাবড় বিশ্বনেতারা]
১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম বাণী জয়রামের। জন্মসূত্রে নাম ছিল কলাইবাণী। ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৬০ এর দশকের শেষে বিয়ের পর স্বামী জয়রামের হাত ধরে মুম্বইতে হাজির হন বাণী। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন প্রথম ১৯৭১ সালে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ‘গুড্ডি’ ছবিতে গান গেয়ে। তাঁর কণ্ঠে বিখ্যাত হয়ে ‘হম কো মন কি শক্তি দেনা দাতা’, ‘বোল রে পাপিহারা মতো গান।
[আরও পড়ুন: জম্মুতে ‘সুগন্ধি বিস্ফোরণে’ অভিযুক্ত জঙ্গিকে বাড়ি ভাড়া! গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী]
এম এস বিশ্বনাথন, কে ভি মহাদেবন, চক্রবর্তী, ইলাইয়ারাজা, সত্যম প্রমুখ প্রথম সারির সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন বাণী। ৫২ বছরের এই সংগীতজীবনে বাণী জয়রাম তামিল, হিন্দি, তেলুগু, মালয়লম, অসমীয়া, বাংলা ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। গত মাসেই পদ্ম সম্মানে ভূষিত হন দক্ষিণ ভারতের এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। অন্যতম সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পেয়ে উচ্ছসিত হয়েছিলেন। কে জানত তিনি দিল্লিতে পৌঁছে নিজে হাতে সেই সম্মান গ্রহণ করতে পারবেন না!