অভিরূপ দাস: এমবিবিএস, বিডিএস, বিএইচএমএস-দের সমান স্টাইপেন্ড চাই। এমন দাবিতে আন্দোলনে নামলেন পশু চিকিৎসকরা। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যকে স্মারকলিপি জমা দিলেন ছাত্র ছাত্রীরা।
ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, এমবিবিএসের মতোই তাঁদের চার বছরের পাঠক্রম। তার পর প্রায় একবছর অ্যাকাডেমিক স্টাডি এবং আরও একবছর ইন্টার্নশিপ করতে হয়। ইন্টার্নশিপের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল তো বটেই ভেটেরিনারি হেলথ সেন্টার, পলিক্লিনিক, চিড়িয়াখানা, লাইভস্টক প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট, ডিজিজ ইনভেসটিগেশন ল্যাবরেটরিতে ডিউটি করতে হয় বিভিএসসি পাস করা ছাত্র ছাত্রীদের। তাতে মাসিক ভাতা মাত্র ৯ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতকন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, জানতেনই না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী]
বিভিএসসি পাস করা ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, ইন্টার্নশিপ চলাকালীন অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ডেন্টাল শাখার জুনিয়র ডাক্তাররা সেখানে ২৮ হাজার ৫০ টাকা করে পান। সেখানে অর্ধেকেরও কম টাকা দেওয়া হয় বিভিএসসি বা ব্যাচেলর ইন ভেটেরনারি সায়েন্স ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের দাবি, ইন্টার্নশিপ চলাকালীন হোস্টেল, মেস ভাড়া গাঁটের টাকা খরচ করে দিতে হয় নিজেদেরই। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এমবিবিএসদের সমান স্টাইপেন্ড এবং ডিএ দাবি করেছেন তারা।
বর্তমানে রাজ্যজুড়ে ইন্টার্নশিপ করছেন ৭৭ জন পশু চিকিৎসক। আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়েছেন ছ’জন। ফলে চাহিদার তুলনায় চিকিৎসকের অভাব উল্লেখযোগ্য। ফলে চাপ যে কতটা তা আন্দাজ করা সহজ। এই বিষয়ে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র আলাউদ্দিন গাজি বলেন, “মানুষ নিজের সমস্যার বা যন্ত্রণার কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু পশুপক্ষীরা সেটা পারে না। তাই গোটা বিষয় বুঝে নিয়ে তাদের চিকিৎসা করা সহজ নয়। আর এত পরিশ্রমের বিনিময়ে যে স্টাইপেন্ড দেওয়া হয় তা অত্যন্ত কম। সরকার বাড়ির ব্যবস্থা করে না। ফলে বাড়িভাড়া করে থাকতে হয়। এতে খরচ কুলোয় না।”