সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঘর ওয়াপসি’৷ শব্দটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে বহুদিন ধরেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দেশ জুড়েই সংঘ পরিবারের পাল্লা ভারীর দিকেই৷ বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ঘর ওয়াপসির মতো বিতর্কিত কর্মসূচি৷ মাথাচাড়া দিয়েছে অসহিষ্ণুতা ইস্যুও৷ এর মধ্যে গত কয়েকমাস ধরে উপত্যকায় চলতে থাকা অশান্তি, বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ে যখন কেন্দ্রের মাথাব্যথার শেষ নেই, তখনই সংঘ পরিবারের অন্যতম বৃহৎ সদস্য বিশ্ব হিন্দ পরিষদ উপত্যকায় কোমর বেঁধে নামছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে৷ জম্মু থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে চলেছে ভিএইচপি, আর তাতেই নানা মহলে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে কি কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমূলে উৎখাত করতেই পরিষদের এমন কর্মসূচি? এমন সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ না বলে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির স্বর্গরাজ্য বললেও ভুল কিছু বলা হবে না৷ কাশ্মীরকে দেশ থেকে আলাদা বিচ্ছিন্ন করতে কম প্রচেষ্টা চলে না৷ অন্যদিকে, কাশ্মীরের উপর প্রতিবেশী পাকিস্তানের নজরও ক্রমাগত বাড়ছে৷ এবার সেই কাশ্মীরে নিজেদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ এবিষয়ে পরিষদের সহ-সভাপতি যুদ্ধবীর শেঠির নেতৃত্বে কাশ্মীরে বিশেষ প্রচার অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গ টেনে যুদ্ধবীর শেঠির বক্তব্য, প্রত্যেকটা মানুষের কাছে দেশই শেষ কথা হওয়া উচিত৷ আর সেকথা ভেবেই মানুষের বিশ্ব হিন্দুপরিষদের সদস্য হওয়া উচিত৷ কারণ তাঁরা দেশ গড়ার কাজে নেমেছেন৷ এমনকি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ১ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন তিনি৷
এর আগে কাশ্মীরের আদি বাসিন্দা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতারিত করার নিয়ে বিতর্ক কিছ কম হয়নি৷ কাশ্মীরে নিজেদের জায়গাতেই তাঁরা থাকতে পারছেন না বলেও অনেকেই অভিযোগ তোলেন৷ তাই এবার সেই কাশ্মীরে হিন্দুদের জমি শক্ত করতেই কি তবে এমন উদ্যোগ পরিষদের, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন৷