বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতিও। এরই মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর জায়গায় নতুন উপরাষ্ট্রপতি বাছাইয়ের জন্য ভোট আগামী ৬ আগস্ট। সেদিনই ফল ঘোষণা।
উপরাষ্ট্রপতি পদটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই পদে আসীন ব্যক্তি একাধারে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলান। সংসদে বিরোধীরা কতটা গুরুত্ব পাবে তার অনেকাংশ নিয়ন্ত্রিত হয় উপরাষ্ট্রপতির হাত দিয়েই। বুধবার নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ১৯ জুলাই। ২০ জুলাই মনোনয়ন পত্র স্ক্রুটিনি করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষদিন আগামী ২২ জুলাই। আসলে আগামী ১০ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর (M. Venkaiah Naidu)। তার আগেই শেষ হবে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন: অসমের বিজেপি সরকারের পাশে শিণ্ডে অ্যান্ড কোং, বন্যাত্রাণে অনুদান দেবেন ৫১ লক্ষ টাকা]
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election 2022)। ফলপ্রকাশ ২১ জুলাই। এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে মগ্ন রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততা আরও বাড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। একসঙ্গে জোড়া নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করাটা বিরোধীদের কাছেই বেশি চ্যালেঞ্জিং। একে তো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে তথাকথিত ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবিরকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তার উপরে আবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। সেটাও বেশ কঠিন কাজই হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস এবং বিজেপির গোপন আঁতাঁত প্রকাশ্যে, মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিষেক]
সরকারপক্ষের অবশ্য সে চিন্তা নেই। সংখ্যার হিসাব বলছে, বিজেপি (BJP) যাকেই প্রার্থী করবে, তিনিই লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটা এগিয়ে শুরু করবেন। যদিও গেরুয়া শিবির প্রার্থী হিসাবে কাকে বেছে নেয়, সেটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা আছে। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন, উপরাষ্ট্রপতি (Vice President Election) পদে সংখ্যালঘু কোনও মুখকে প্রার্থী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন মুখতার আব্বাস নকভি। আবার ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর নিজেরও নাকি রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রার্থী হতে না পেরে তিনি অসন্তুষ্ট। তাই তাঁকে ফের উপরাষ্ট্রপতি পদে রেখে দেওয়া হতে পারে। সবটাই এখনও জল্পনার স্তরে।