সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: দশটা রাউন্ড ধরে চলল জোর লড়াই। আর তারপরই এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রিং-য়ে বিজয়ী হিসেবে বিজেন্দরের নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে যায় সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত দর্শকরা ভারতীয় পতাকা হাতে শুরু করে দেন সেলিব্রেশন। বিদেশে একগুচ্ছ খেতাব জয়ের পর দেশের মাটিতেও নিজের বিজয় রথ অক্ষুণ্ন রাখলেন ‘পাঞ্জাব দা পুত্তর’। WBO এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড WBO ওরিয়েন্টাল সুপার মিডল ওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপে ফের শিরোপা পেলেন তিনি। নকআউট কিং হিসেবে পরিচিত বিজেন্দর এদিন প্রতিপক্ষকে নকআউট না করলেও বিচারকরা তাঁকেই নির্দ্বিধায় সেরা হিসেবে বেছে নিলেন। এই নিয়ে টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত রয়ে গেলেন বিজেন্দর।
[দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘোষিত হল ১৭ জনের ভারতীয় দল]
১৮ বছর বয়সে নর্থ-ওয়েস্টার্ন রেলওয়েজের টিকিট চেকারের চাকরি নিয়ে জয়পুরে পোস্টিং হয়েছিল বিজেন্দর সিংয়ের। তখনই শহরটা অলি গলি চিনে ফেলেছিলেন। সেই বিজেন্দর আর আজকের বক্সার বিজেন্দরের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। অলিম্পিক পদক জয়ের পর এখন পেশাদার বক্সিংয়ে ভারতের এক নম্বর প্রতিনিধি। ঘানার আর্নেস্ট আমুজুর বিরুদ্ধে পেশাদার লড়াইয়ের ভেন্যুও ছিল সেই জয়পুর। বিজেন্দর তাই প্রবল নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে ঘরের মাঠে জয়ের খিদেটাও ছিল বেশি।
[মেসি ম্যাজিকে ঘরের মাঠে লজ্জার হার রিয়ালের]
বিজেন্দর এবং আমুজু দুই তরফেই কথার লড়াই চলছিল গত ক’দিন ধরে। বিজেন্দর বলেছিলেন, জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। পেশাদারি বক্সিং রিংয়ে লাগাতার জয়ী বিজেন্দর লড়াইয়ের আগের দিন নিজের অবস্থান আরও পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। বাস্তববাদী হওয়াটা যে বেশি জরুরি, তা বুঝেছিলেন। একটা ভাল পাঞ্চেই লড়াইয়ের ফয়সালা হয়ে যায়। তাই হালকাভাবে নেননি লড়াইটাকে। শুধু মুখেই নয়, কাজেও করে দেখালেন তিনি। আর তাই শেষ হাসি হাসলেন বিজেন্দারই।
The post দশে দশ, ঘানার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন বিজেন্দর appeared first on Sangbad Pratidin.