শম্পালী মৌলিক: এই প্রথমবার এক সিনেমায় জুটি বাঁধতে চলেছেন মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar) ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Vikram Chatterjee)। তাঁদের নিয়ে তৈরি হবে এসভিএফের নতুন ছবি ‘কুলের আচার’ (Kuler Achaar)। পরিচালনায় সুদীপ দাস।
মধুমিতা একদা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ, তারপর ধীরে ধীরে বড়পর্দায় নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। এ বছরের শুরুতেই তাঁর সাফল্য এসেছে ‘চিনি’ ছবিতে। অন্যদিকে বিক্রম টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠিত মুখ, ওয়েব প্ল্যাটফর্ম-সিনেমাতেও সফল। কিন্তু এই দু’জনকে আগে কখনও একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি। এবার ‘কুলের আচার’ নামক ফ্যামিলি ড্রামায় তাঁরা একসঙ্গে কাজ করবেন।
মধুমিতার চরিত্রের নাম ‘মিঠি’, অন্যদিকে বিক্রম হচ্ছেন ‘প্রীতম’। মিঠির শাশুড়ির চরিত্রে বহুদিন পর বড়পর্দায় পাওয়া যাবে ইন্দ্রাণী হালদারকে (Indrani Halder)। ধারাবাহিকের কাজ শেষ হওয়ার পর এই ছবির মাধ্যমেই বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তন ঘটছে তাঁর। ইন্দ্রাণীর স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন নীল (সুজন) মুখোপাধ্যায় (Neel Mukherjee)।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার টান? ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে উধাও পিংলার গৃহবধূ, ঘনাচ্ছে রহস্যপরকীয়ার টান? ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে উধাও পিংলার গৃহবধূ, ঘনাচ্ছে রহস্য]
‘কুলের আচার’ ছবির কাহিনি-চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক সুদীপ দাস নিজেই। কেমন ছবির ভাবনা? পরিচালক বলছেন, “ছবির গল্পে একটি মেয়ে বিয়ের পরে ঠিক করে যে তার পদবি পালটাবে না। সে তার বাড়ির সারনেম-ই রাখবে। যেটা এই সময়ে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ করে থাকেন। যদিও তার জন্য মেয়েদের অনেক কিছু অতিক্রম করতে হয়। এই অতিক্রম করার জার্নি নিয়েই কাহিনি। তার কোথাও গিয়ে মনে হয়, সারনেম হচ্ছে তার বাবা-মায়ের পরিচয়। তার দাদু-ঠাকুমার নামও সেখানে জড়িয়ে। একটা মানুষের অস্তিত্বের ইতিহাস জড়িয়ে থাকে পদবিতে। বিয়ের পর কেন সেই ইতিহাস বাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ির নাম জড়াতে হবে?
পরিচালকের কথায়, “মিঠির এমনটা মনে হয়। একটি ছেলেকে তো বিয়ের পর পদবি বদলাতে হচ্ছে না, শুধু কেন একটা মেয়েকেই বদলাতে হবে? এইসব মিলিয়ে মিঠি জেদ করে, সে পদবি বদলাবে না। আরেকটা প্রশ্নও এসে যায় এখানে, যে-সব মেয়ে বিয়ের পর সারনেম পালটায় তারা কি তাহলে ভুল? তারা কি তাদের বাবা-মাকে বা নিজেদের ইতিহাস ভুলে গিয়েছে? তাহলে কে ঠিক? যারা পদবি বদলায় না, তারা? নাকি যারা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো দু’টো পদবিই রাখে? এই উত্তর অন্বেষণের যাত্রাপথ নিয়েই ছবির গল্প এগোবে। যে কোনটা ঠিক, আর কোনটা ভুল।”
অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “আমি আর মধুমিতা প্রথমবার এই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করব। মধুমিতা খুব ভাল কাজ করছে। আমরা সদ্য বিবাহিত দম্পতির ভূমিকায় রয়েছি। ‘কুলের আচার’ ফ্যামিলি ড্রামা। ছবির নামটাও খুব ইন্টারেস্টিং। বলতে পারো, টক-ঝাল-মিষ্টি একটা স্বাদ রয়েছে গল্পে।” ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুটিং শুরু। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে যুক্ত থাকছেন মৈনাক ভৌমিক। মিউজিক করবেন প্রসেনের দলবল। ক্যামেরার দায়িত্বে প্রসেনজিৎ চৌধুরী। আবহসংগীতের দায়িত্বে থাকছেন অমিত-ঈশান।
প্রসঙ্গত, এই ছবির পরিচালক সুদীপ দাস আগে টেলিভিশনের কাজ করেছেন। আর একটি ছবি করেছিলেন ‘শব্দ কল্প দ্রুম’ নামে। আর কিছুদিন আগে ২০১৯ সালে ‘ডাব চিংড়ি’ বানিয়েছিলেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য। এবার তিনি তাঁর তৃতীয় ছবিতে হাত দিতে চলেছেন। বলা যায় একেবারে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে, ছবির গল্প দানা বাঁধবে। যার সঙ্গে দর্শক সংযোগ অনুভব করবে।