সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অলিম্পিকে পদক জয়ের একেবারে শেষ ধাপ পর্যন্ত উঠেও তাঁকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তার পর কুস্তির ম্যাট ছেড়ে নেমেছিলেন রাজনীতির ময়দানে। সেখানেও কি অলিম্পিকের দুর্ভাগ্যই তাড়া করবে ভিনেশ ফোগাটকে? হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হতে তাড়া করছিল সেরকম আশঙ্কা। ভোটগণনা শুরু হতে পিছিয়ে পড়েন ভিনেশ। তবে খানিক পরে দুরন্ত কামব্যাক করেন। রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম ভোটেই জিতে গেলেন ভিনেশ ফোগাট। জুলানা কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তিনি।
বিজেপির সঙ্গে ভিনেশের ‘শত্রুতা’ দীর্ঘদিনের। কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে যে আন্দোলন হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দিল্লির রাজপথে মার খেতে হয়েছে ভিনেশকে। এমনকী কুস্তি ফেডারেশনের জন্যই নিজের অলিম্পিকে বিভাগে লড়তে পারেননি দেশের অন্যতম সেরা মহিলা কুস্তিগির। তাঁকে লড়তে হয়েছে ওজন কমিয়ে। যার জেরে ফাইনালে ওজন বেড়ে গিয়ে জেতা পদক হাতছাড়া হয়েছে তাঁর।
অলিম্পিকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বুকে নিয়েই কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছেন ভিনেশ। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নেমে পড়েছেন হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে। জুলানা কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় হাত শিবির। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ভিনেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন তাঁরই তুতো বোন ববিতা ফোগাট। তবে শেষ পর্যন্ত যোগেশ কুমারকে ওই কেন্দ্রে টিকিট দেয় বিজেপি।
মঙ্গলবার সকালে ভোটগণনা শুরু হতে ৩০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন ভিনেশ। কিন্তু পরের রাউন্ডেই ধরাশায়ী হন। লিড যায় বিজেপি প্রার্থীর কাছে। তবে বেলা বাড়তে ফের কামব্যাক করেন ভিনেশ। আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ৬০১৫ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে বিধায়ক হলেন প্রাক্তন কুস্তিগির।