সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন পর্ব চলবে সাতদিন ধরে। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠান। নেতাজির জন্মদিনে শুরু হয়ে গান্ধিজীর মৃত্যুদিনে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান। আরও জানা গিয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর কর্তব্যপথে একেবারে সামনের সারিতে বসার সুযোগ পাবেন রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা থেকে নির্মাণক্ষেত্রের শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে ছেঁটে ফেলা হয়েছে এই অনুষ্ঠানের ভিআইপি আসন সংখ্যা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৪৫ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে কর্তব্যপথে। কোভিডের আগে অবশ্য একসঙ্গে ১ লক্ষের বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পেতেন। সেই সঙ্গে ভিআইপি অতিথিদের আসনেও প্রচুর কাটছাঁট করা হয়েছে। প্রথমবারের জন্য সাধারণতন্ত্র দিবসে ড্রোন শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও মিলিটারি ট্যাটু, উপজাতিদের নাচ দেখতে পাবেন দর্শকরা। সেই সঙ্গে ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে দেশের নানা প্রান্তের স্কুলপড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব কাণ্ডে বিরাট অঙ্কের জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়াকে, সাসপেন্ড পাইলটও]
জানা গিয়েছে, এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজে বাংলার থিম নারীর ক্ষমতায়ন। রাজ্যের দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সপরিবারে মা দুর্গা-কে নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে চলেছে বাংলা। সাধারণতন্ত্র দিবসের পরে বাংলার ট্যাবলো অংশ নেবে লালকেল্লার ভারতপর্ব অনুষ্ঠানে। সেখানে ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গ ছৌ-নাচ, খোল করতালের দল অনুষ্ঠান করবে। সঙ্গে থাকবে রাজ্যের পর্যটন ও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের স্টল। যেখানে হাতে কলমে জিনিসপত্র তৈরি করবেন রাজ্যের শিল্পীরা।
সাতদিন ব্যাপী সাধারণতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গান গাইবেন কৈলাস খের। জানা গিয়েছে, নেতাজির ১২৬তম জন্মদিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হবে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাকে। করোনার কারণে দু’বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছিল। চলতি বছরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা আল সিসিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জানা গিয়েছে, মিশর থেকে ১২০ জনের প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ১২৫ দিন পর ভাঙল ‘তপস্যা’, ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রথমবার জ্যাকেট গায়ে চাপালেন রাহুল]