সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্র সৈকতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এক ঝাঁক খুদে ডাইনোসর (Dinosaurs)। লাফিয়ে, দৌড়ে তটভূমির দিকে ছুটে যাচ্ছে লম্বা গলাওয়ালা প্রাণীগুলো। এক ঝলক দেখলে যে কেউ বলতে বাধ্য হবেন–এ যে সাক্ষাৎ জুরাসিক পার্ক! কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? ডাইনোসররা তো সেই কবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে পৃথিবী থেকে! জীবাশ্ম ছাড়া এই পৃথিবী—কাঁপানো প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের যে আর কিছুই বাকি নেই এই ধরাধামে।
তাহলে ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? এই ফুটেজ কি ‘এডিটেড’? ‘সুপার—ইম্পোজ’ করা?
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিমদের কলঙ্ক’, কমলা অন্তর্বাস পরা ছবি পোস্ট করে কটাক্ষের শিকার নুসরত]
উত্তর, না। ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়েরই। তবে তাতে ডাইনোসর—সদৃশ যে প্রাণীদের লাফাতে ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছে, তারা আদপে ‘কোয়াটিস’। এমনটাই দাবি নেটাগরিকদের অধিকাংশের। তবে সত্য যা—ই হোক, ডাইনোসর ভেবে প্রচুর নেটিজেনই নানা ধরনের মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন ওয়াল। এমনকী যিনি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, তিনিও বিস্ময় চেপে রাখেননি।
বুইটেঞ্জিবিডেন নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হয়েছে ওই ভিডিও। ক্যাপশনে লেখা, “কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি।’ ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর টুইটারে ‘ভিউ’ হয়েছে ৯৮ কোটি। ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন ভিডিওটি। সময় যত এগোচ্ছে, এই সমস্ত পরিসংখ্যানই ক্রমশ বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল’, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের]
এক নেটিজেনের দাবি, তাঁর ন’বছরের ছেলের থেকেও তিনি বেশি অবাক হয়েছেন ডাইনোসরদের এই সময়ে দেখে। আবার কেউ লিখেছেন, ‘এ যে দেখছি জলজ্যান্ত জুরাসিক পার্ক!’তবে যাঁরা সত্য সামনে এনেছেন, তাঁরা জানাচ্ছেন–এই প্রাণীগুলির নাম কোয়াটিস। এমন প্রাণী দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার কিছু অংশে দেখা যায়। এরা প্রসিওনিডি প্রজাতিভুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। নামটি এসেছে ব্রাজিলিয়ান টুপিয়ান ভাষা থেকে। যার অর্থ, একটি পাঞ্জা। এক টুইটারাট্টির দাবি, একটি প্রাপ্তবয়স্ক কোয়াটিসের দেহের আকার ৩৩—৬৯ সেন্টিমিটারের মতো হয়। বড়সড় বিড়ালের মতো দেখতে হয় এদের। ওজন প্রায় ৪ কেজির মতো। রেকুন ও ভল্লুকের মতো এদেরও পাঞ্জা থাকে।