সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস, নির্মম ‘হত্যাকাণ্ড’ মেনে নেওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। যতবারই ঘটনার কথা মনে পড়ছে, ততবারই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। হচ্ছে রাগও। কিন্তু এমন ঘটনা বন্ধ হওয়া জরুরি। কেরলে হাতি ‘খুনে’র ঘটনার পর তাই সকলের কাছে পশুপ্রেমের আরজি জানিয়েছেন বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীরা।
সদ্যই কেরলের মালাপ্পুরমে গর্ভবতী হাতিকে ‘খুনের’ ঘটনা সামনে আসে। অপরাধ বলতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল সে। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। কিন্তু গ্রামে হাতিকে ঘুরতে দেখেই সকলে ভেবে ফেলে হাতিটি নির্ঘাত কোনও ক্ষতি করবে। হয় ভাঙবে কাঁচাবাড়ি আর নাহলে দাপিয়ে বেড়াবে ফসল ভরা মাঠে। আবার কেউ ভেবেছিল কারও প্রাণহানির কারণও হতে পারে সে। কিন্তু অবলা প্রাণীটির এমন কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। তার চোখ শুধুই একটু খাবারের সন্ধান করছিল। খাবার খেয়ে নিজের এবং তার গর্ভস্থ সন্তানের পেটের জ্বালা মেটাতে চেয়েছিল সে। ভাবতেও পারেনি সেই জ্বালা মেটাতে গিয়ে প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই তো বাজি এবং বারুদে ঠাসা আনারস খেয়ে নেয়। খাওয়ার পর থেকে শরীরের ভিতর অদ্ভুত জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়। অবলা প্রাণী নিজের কষ্টের কথা কাউকে জানাতে পারেনি। শুধু পথের পর পথ হেঁটে কষ্ট সহ্য করে গিয়েছে। তারপর একটি নদীতে নেমে যায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি। জলের মধ্যে শুঁড় ডুবিয়ে বসে কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করছিল। কাজের কাজ হয়নি। সেভাবেই কখন যে সে প্রাণ হারিয়েছে জানতে পারেনি কেউই।
ঘটনার কথা সামনে আসতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। গর্ভবতীর হাতির সুবিচার চেয়ে অনলাইন আবেদনেও শামিল হচ্ছেন নেটিজেনরা। ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সুনীল ও কোহলি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোহলি লেখেন, “কেরলের ঘটনা শুনে মর্মাহত। আসুন পশুদের ভালবাসি আর এই কাপুরুষিত ঘটনার সমাপ্তি ঘটাই।” দুঃখপ্রকাশ করে সুনীল লিখেছেন, “ও একটা নীরিহ অন্তঃসত্ত্বা হাতি ছিল। আশা করি ওই এই ঘটনার জন্য রাক্ষসদের শাস্তি হবে।”
তবে অবাক করে বুধবারই ফের একটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। বিস্ফোরক ব্যবহার করেই তার চোয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
The post ‘আশা করি ওই রাক্ষসগুলোর শাস্তি হবে’, কেরলে হাতির মৃত্যুতে সরব বিরাট-সুনীল appeared first on Sangbad Pratidin.