সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি (Virat kohli)। নামটাই বোধ হয় যথেষ্ট। ব্যাট হাতে নিজেকে এমন একটি পর্যায়ে তিনি নিয়ে গিয়েছেন, যেখানে হয়তো তার হাতে হাত দেওয়ার মতো আর কেউ রইল না। শচীন তেণ্ডুলকরের ১৭ বছরের পুরনো ভেঙে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। বিশ্বের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২ হাজার রানের মালিক হয়ে গেলেন বিরাট।
১২ হাজার রানের গণ্ডি পেরতে বিরাটের লাগল মাত্র ২৫১টি ম্যাচ এবং ২৪২টি ইনিংস। শচীন (Sachin Tendulkar) এই রান করেছিলেন ৩০০টি ইনিংসে। ম্যাচ লেগেছিল ৩০৯টি ম্যাচ। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রিকি পন্টিং। ১২ হাজার রানে পৌঁছাতে তাঁর লেগেছিল ৩১৪টি ইনিংস। রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি এদিন অর্ধশতরানও করেন কোহলি। ৭৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আইপিএল, সিপিএলের পর এবার মার্কিন টি-২০ লিগে বড়সড় বিনিয়োগ করতে চলেছে KKR]
তবে, বিরাটের এই রেকর্ডের দিনে আলাদা করে নজর কাড়লেন দুই অলরাউন্ডার। একজন হার্দিক পাণ্ডিয়া। অপরজন, রবীন্দ্র জাদেজা।টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেনি টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ২৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যাব ধাওয়ান। এদিন মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া শুভমন গিল সেট হওয়ার পরও হতাশ করেন। তিনি করেন ৩৩ রান। ফের ব্যর্থ আইয়ার। তাঁর সংগ্রহ ১৯ রান। লোকেশ রাহুলও এদিন মাত্র ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপরই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের জাত চেনালেন দুই অলরাউন্ডার। দু’জনেই অপরাজিত থাকলেন শেষ পর্যন্ত। হার্দিক যখন ব্যাট করতে এলেন তখন মাত্র ১৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে ভারত। তখনও বাকি ১৯ ওভার। সেখানে থেকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভাবে না খেলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিলেন হার্দিক (Hardik Pandya)। শেষপর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি। মাত্র ৭৬ বলে করলেন ৯২ রান। হার্দিকের মতোই দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন জাদেজাও। একই পরিস্থিতিতে নেমে তিনি করলেন ৫০ বলে ৬৬ রান। এই দুই অলরাউন্ডারের ইনিংসে ভর করেই অজিদের ৩০৩ রানের সম্মানজনক টার্গেট দিল ভারত।
[আরও পড়ুন: কোহলির পিতৃকালীন ছুটি নিয়ে এবার কটাক্ষ গাভাসকরের, ঘুরিয়ে খোঁচা দিলেন অনুষ্কাকেও]
যদিও, এই পিচে আদৌ এই রান যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। কারণ, মানুকা ওভালের এই মাঠে গড়ে সাড়ে তিনশো রান হওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে গত কয়েকটি ম্যাচে। এদিন ভারত বোলিং লাইন আপেও একাধিক পরিবর্তন করেছে। শামি, সাইনির বদলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ নটরাজন এবং শার্দূল ঠাকুর। নটরাজন এদিন নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেক করলেন। চাহালের পরিবর্তে দলে এসেছেন কুলদীপ।