স্টাফ রিপোর্টার: বিগত অস্ট্রেলিয়া সফর বড় 'নির্যাতন' চালিয়েছে ভারতীয় টিমের উপর। না হলে স্বপ্নের দিনে কখনও টিমের মহাতারকা ক্রিকেটারের দুঃস্বপ্নের কথা মনে পড়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সুখাবহে কখনও প্রসঙ্গক্রমেও কি আসা উচিত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ১-৪ মহাবিপর্যয়ের কাহিনি?
উচিত নয়। কিন্তু আসছে। কারও এ নিয়ে কলার কথা নয়। কিন্তু বিরাট কোহলি বলছেন!
ঠিক পড়লেন। দুবাইয়ের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর বিরাট কোহলি সাফ বলে গেলেন, অস্ট্রেলিয়া বিপর্যয়ের পর তাদের এ রকম এক মহাপ্রত্যাবর্তন প্রয়োজন ছিল। বড় দরকার ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো এক বড় ট্রফি জেতা। "অস্ট্রেলিয়া সফরটা বড় কঠিন গিয়েছিল আমাদের। তাই আমি চেয়েছিলাম এ রকম একটা বড় টুর্নামেন্ট জিততে। ভেবে ভালো লাগছে যে, আমরা সেটা করে দেখাতে পেরেছি। অসামান্য অনুভূতি হচ্ছে, জানেন। আমাদের টিমের যারা তরুণ সমস্ত ক্রিকেটার, তারা প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ। ওদের সঙ্গে খেলাটা আমি প্রবল উপভোগ করি। আমাদের ড্রেসিংরুমে প্রচুর প্রতিভা। ফরা সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটকে" রবিবার ট্রফি জয়ের পর বলে দিয়েছেন বিরাট। সঙ্গে যোগ করেছেন, "আমরা, সিনিয়ররাও তরুণদের এই গ্রুপটাকে যতটা পারি, সাহায্য করছি। সঙ্গে সুযোগ পেলে নিজেরাও পারফর্ম করছি।"
বড় টুর্নামেন্ট জয়ের রসায়ন কী? তাতে কোন কোন মশলাপাতি লাগে। কোহলি বলছিলেন, টিমগেমের কথা। "ট্রফি জিততে গেলে পুরো টিমকে বিভিন্ন মাচে জ্বলে উঠতে হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই যদি উদাহরণ হিসেবে ধরেন, তা হলে দেখবেন যে টুর্নামেন্টের পাঁচটা ম্যাচে প্রত্যেকে কিছু না কিছু করে গিয়েছে। কেউ হয়তো দারুণ ইনিংস খেলেছে। কেউ হয়তো দারুণ একটা স্পেল করেছে। আর এ সমস্ত জুড়ে টুর্নমেন্ট জয়ের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। আবারও বলছি, আমাদের টুর্নামেন্টট অবিশ্বাস্য গেল। শুভমান যা বলে গেল, আমিও তাই বলছি। আমি এখন চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব জুনিয়রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে। আমি ওদের বলি, কী করে এত লম্বা সময় খেলে চলেছি। চেষ্টা করি, যাতে ওদের খেলাতেও উন্নতি হয়। আসলে বলা হয় না, তুমি যখন সরে যাবে, টিমকে এমন উন্নত জায়গায় রেখে যাবে, যাতে ভাবতে না হয়। আমিও তারই চেষ্টা করি। একদিন সবাইকে সরতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে, এমন একটা টিম যাতে হাতে থাকে, যারা বিশ্বের যে কোনও টিমের মহড়া নিতে পারে।"