বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, মাদুরাই: কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিবাদের জেরে পরিস্থিতি গড়াল ভোটাভুটি পর্যন্ত। তবে বাংলা থেকে সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিশেষ মতানৈক্য তৈরি হয়নি। রাজ্য থেকে নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ নাম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
মাদুরাইয়ের পার্টি কংগ্রেসের জন্য গঠিত প্রেসিডিয়ামে জায়গা পেয়েছিলেন মীনাক্ষী। সাধারণত এই প্রেসিডিয়ামে তাঁরাই জায়গা পান, যাঁদের দল আগামী দিনে নেতৃত্বের উপরের সারিতে তুলে আনতে চায়। মীনাক্ষী প্রেসিডিয়ামে জায়গা পাওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে চলেছেন। সেই জল্পনাতেই সিলমোহর। মীনাক্ষী ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কননীকা ঘোষ, হুগলির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, দার্জিলিংয়ের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক।
বয়সের কারণে এবারে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও রেখা গোস্বামী। আগে বাংলার ১৩ জন সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এবার ৩ জন বাদ পড়লেন এবং নতুন করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকে পড়লেন। সব মিলিয়ে ৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার সদস্য বেড়ে দাঁড়াল ১৫। পলাশ দাস, কল্লোল মজুমদার, তাপস সিনহা, জামির মোল্লারা দৌড়ে থাকলেও তাঁরা শেষমেশ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারলেন না।
এদিকে কার্যত নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে ভোটাভুটি করাতে হল। মহারাষ্ট্রের সিটুর সভাপতি বি এল কারাডের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ভোটাভুটি হয়েছে। শেষমেশ অবশ্য কারাড কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারেননি।