সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের দিকে এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। বুধবার কেপটাউনে বিরাট কোহলির শতরানে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩০৩ রানে শেষ হল ভারতের ইনিংস। যার মধ্যে কোহলি একাই করেছেন ১৬০ রান। এটি তাঁর ৩৪তম সেঞ্চুরি। ২০০৩-এ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে শচীনের ১৫২ রানকে টপকে এদিন ১৬০ রানে অপরাজিত থাকলেন বিরাট। এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনও ভারতীয়র সর্বোচ্চ স্কোর। তিনি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন ড্রেসিংরুমে গোটা ভারতীয় দল উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করে।
[ভুল থেকেও শিক্ষা নেই, দক্ষিণ আফ্রিকায় ফের উলটো উড়ল ভারতের তেরঙ্গা]
খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। রেকর্ড ভাঙা যেন তাঁর কাছে জলভাত। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলি ও ধাওয়ানের পার্টনারশিপ দেখে মনে হচ্ছিল, ভারত আরও বড় রানের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু ডুমিনি ও তাহিরের সৌজন্যে তেমনটা হয়নি। পরে অবশ্য ফের কোহলি ও ভুবনেশ্বর ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান। কোহলির ১৫৯ বলে ১৬০ ও ধাওয়ানের ৬৩ বলে ৭৬ রানের জন্যই প্রথম ওভারে রোহিত শর্মার আউট হওয়াটা ভারতের পক্ষে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠেনি। শেষ দুই বলে একটি ছয় ও একটি চার মেরে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেন সেই সিদ্ধান্তকে একাই ভুল বলে প্রমাণিত করলেন। ইতিহাস বলছে, এই মাঠে দিনরাতের ম্যাচে এত রান তাড়া করে জেতার পরিসংখ্যান নেই। শেষবার ২০১১-তে দক্ষিণ আফ্রিকারই ২২১ রান তাড়া করতে নেমে জিতেছিল ভারত। তথ্য আরও বলছে, প্রোটিয়াদের এই সিরিজে ৪-২ ব্যবধানে হারাতে পারলে ভারত একদিনের ক্রিকেটে শীর্ষ স্থান দখল করবে। বিরাটকে এদিন যোগ্য সঙ্গত দেন শিখর ধাওয়ান। তিনি করেন ৭৬ রান। জেপি ডুমিনি ২ উইকেট নেন। ভারতীয় বোলাররা এই পিচ থেকে কতটা ফায়দা তুলতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।
কোহলির সেঞ্চুরির পাশাপাশি এদিন আরও সুখবর রয়েছে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য। মহিলাদের ক্রিকেটে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৮ রানে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। স্মৃতি মান্ধানা ও ঝুলন গোস্বামীদের দাপটে অভিভূত খোদ ক্রিকেটের ভগবান শচীনও। টুইটে জয়ের দুই কারিগরকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।