সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও অভিযুক্তের কুমারীত্ব পরীক্ষা (Virginity test) অসাংবিধানিক। ১৯৯২ সালের সিস্টার অভয়া হত্যা মামলার (Sister Abhaya murder case) অভিযুক্ত সিস্টার সেফির ভার্জিনিটি টেস্ট প্রসঙ্গে এমনটাই জানাল দিল্লি হাই কোর্ট। মঙ্গলবার আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিল, অভিযুক্ত কিংবা নির্যাতিতা কারও কুমারীত্ব পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় এবং তা অসাংবিধানিক।
এদিন বিচারপতি এসকে শর্মা বলেন, এই ধরনের পরীক্ষা কখনওই হওয়া উচিত নয়। কেননা তা কোনও নাগরিকের গোপনীয়তা ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্ত সিস্টার তার বিরুদ্ধে রুজু হওয়া ফৌজদারি কার্যবিধি সম্পন্ন হলে অবশ্যই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানহানির মামলা করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদি ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক?’ সংসদে প্রশ্ন তুলতেই রাহুলকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার]
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর মামলা চলার পর ২০২০ সালে শাস্তি পেয়েছিল সিস্টার অভয়ার (Sister Abhaya) হত্যাকারীরা। তিরুবনন্তপুরমের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় অপরাধীদের। সেই সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অপরাধে আরও সাত বছর করে কারাবাসের রায় শোনানো হয়েছিল।
১৯৯২ সালের মার্চ মাসে খুন করা হয়েছিল সিস্টার অভয়াকে। সেদিন খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল উনিশ বছরের অভয়ার। তিনি উঠে কুয়োতলায় যান মুখ ধুতে। চার্জশিটে অনুমান করা হয়েছে, সম্ভবত দুই পাদ্রী ও এক নানকে তিনি কোনও যৌনতায় লিপ্ত অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। আর সেই কারণেই খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার পর ধাক্কা মেরে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয় সিস্টার অভয়াকে। এই মামলাতেই সেফির ভার্জিনিটি টেস্ট করেছিল সিবিআই। পরীক্ষা করে দেখা যায়, সে কুমারী নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আরেক অভিযুক্ত ফাদার কোট্টুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া।