ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) প্রতিষ্ঠা শতবর্ষে শান্তিনিকেতন আসার জন্য আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানাল বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের তরফে এ কথা জানিয়েছেন কিশোর ভট্টাচার্য। আগামী ৮ পৌষ আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী-সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন, নাকি ভারচুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তা এখনও জানায়নি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর।
আসন্ন পৌষ উৎসব নিয়ে বুধবার বিশ্বভারতীতে কর্মী পরিষদের একটি বৈঠক ছিল। বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মী মণ্ডলী, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, আলাপিনী সমতি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন । করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে এই উৎসব পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, আগামী ৮ পৌষ আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে। সেই শতবর্ষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ৮ই পৌষ বা ২৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান শুরু হবে ভোরে বৈতালিক দিয়ে। সকাল ৮.৩০ তে শুরু হবে প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান চলবে দু’ঘন্টা।
[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের প্রভাব বঙ্গেও, শিখ সম্প্রদায়ের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ডানকুনি টোল প্লাজা]
এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এবার পৌষ মেলা আয়োজন করা হবে না। কিন্তু পৌষ উৎসব হবে। ৭-৯ই
পৌষ উপাসনা,পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ,মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন, সমাবর্তন এবং খ্রিষ্টোৎসব পালিত হবে। শনিবার
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষে অনিল কোনার বলেন, ”বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিনিকেতনে আসার জন্য বিশ্বভারতী আমন্ত্রন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আসতে না পারলে ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী এবং রাজ্যপাল উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। করোনা পরিস্থিতি পৌষ মেলা হচ্ছে না।”