ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ, উপাচার্য ঘেরাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এই অভিযোগে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিশ্বভারতী (Visva Bharati University)। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার ৩৮ পাতার রিট পিটিশন দাখিল করল আদালতে। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হতে পারে শুনানি।
বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয় পড়ুয়ারা। গত শুক্রবার থেকে ছাত্র আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিশ্বভারতীতে। দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ। পাঁচদিন ধরে একাটানা ছাত্র আন্দোলনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জারি অচলাবস্থা। গৃহবন্দি উপাচার্য। বুধবারও পরিস্থিতি কার্যত একই। সকালে উপাচার্যের বাড়ির গেটের সামনে দুধ, কলা দেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: দলীয় বৈঠকে গরহাজির ৫ বিধায়ক, এবার উত্তরবঙ্গেও ঘর ভাঙার আশঙ্কায় BJP]
অন্যদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় রুষ্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চলতি পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তারপরই মন্ত্রক থেকে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু উপাচার্য এই বিষয়ে এখনও রাজি হননি বলে খবর। এদিকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিস যাওয়ার দু’টি গেটে কারা তালা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে আদালত অবধি গড়াল জল। বুধবার রাজ্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করল বিশ্বভারতী। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। পুলিশও কোনও সহযোগিতা করছে না বলেই দাবি উপাচার্যের।