ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ৯ মাস ধরেই মাথার উপর ঝুলছে সাসপেনশনের খাঁড়া। বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে কি এবার ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে কর্তৃপক্ষ? তেমনই ইঙ্গিত মিলল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায়। এবার অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ (Showcause) নোটিস ধরানো হল। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে, কেন তিনি ছাত্রদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। ৯ মাস ধরে বরখাস্ত (Suspend) থাকা অধ্যাপককে ফের কেন এই শোকজ নোটিস পাঠানো হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী চত্বর। অর্থনীতি বিভাগের সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী নামে সংগীত বিভাগের পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হন পড়ুয়ারা। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষমেশ কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) এই তিনজনকে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের ক্লাসে ফেরানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে পোষ্য সারমেয়কে খুন! সোনারপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক]
আর পড়ুয়াদের এই আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল অর্থনীতি বিভাগের বরখাস্ত অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। এই নিয়েই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তার উত্তর দিতে হবে অধ্যাপককে। এই শোকজ চিঠিকে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটার প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। নইলে ৯ মাস ধরে বরখাস্ত থাকা অধ্যাপককে কেনই বা নতুন করে শোকজ করা হল?
[আরও পড়ুন: মালদহে জ্বরে আরও এক শিশুর মৃত্যু, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গেল বিশেষজ্ঞ দল]
এ প্রসঙ্গে সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ”এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ একটি পদক্ষেপ। উনি (ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) যাঁকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে যে অভিযোগটা উঠছে, আমি একা ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম, তা ঠিক নয়। ওদের সমর্থন করেছিল আমাদের সংগঠন, VBUFA। কিন্তু এটা ব্যক্তি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকেই শোকজ করা হয়েছে। আইনি পথেই হাঁটব। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি, দেখা যাক।”