সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। লাগাতার হামলা করেও যুদ্ধে জিততে পারেনি রাশিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকাই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যুদ্ধের ব্যাপক খরচে রাশ টানতে অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০১২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন সের্গেই শোইগু। তাঁর আমলেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধে এখনও সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি মস্কো। এহেন পরিস্থিতিতেই দীর্ঘদিনের মন্ত্রী শোইগুকে কার্যত ছেঁটে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। যদিও তাঁকে নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি করা হয়েছে। গুরুত্বের বিচারে এই পদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চেয়েও অনেক উঁচু।
[আরও পড়ুন: মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন! দুমাসের মধ্যে মৃত্যু প্রৌঢ়র]
শোইগুর পরিবর্তে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে আন্দ্রেই বেলুশভকে। রাশিয়ার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ। যুদ্ধ বা সামরিক ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান সীমিত বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু দেশের প্রতিরক্ষা সামলানোর ভার তাঁর হাতেই তুলে দিলেন প্রেসিডেন্ট। তার কারণ, সামরিক খাতে ব্যয়ের পরিমাণ হু হু করে বেড়েই চলেছে। সেই খরচে কাটছাঁট করতেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞকে বসানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ পদে।
মন্ত্রিসভার রদবদলের ঘোষণা করতে গিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানান, ১৯৮০ দশকের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো অবস্থা হচ্ছে রাশিয়ার। সেনা ও পুলিশ খাতেই দেশের ৭.৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সেই জন্যই প্রেসিডেন্ট পুতিন চান, এই দুই ক্ষেত্রের খরচ যেন দেশের অন্যান্য খাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। বেলুশভকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদে বসিয়ে পুতিনের মত, যারা নানা ধরণের নতুন উপায় বের করতে পারবে যুদ্ধে তারাই জয়ী হবে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই শোইগুর ডেপুটির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পুতিন।