সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ফের আমেরিকা যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবারই মস্কোকে রণক্ষেত্রে নিঃশর্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। যা একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না ওয়াশিংটন। এর মাঝেই হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও জেলেনস্কি বলে সূত্রের খবর। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী রণকৌশল নিতেই হয়তো আলোচনায় বসতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সূত্রে খবর, সামনের সপ্তাহে আমেরিকা যেতে পারেন জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে (White House) দেখা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা সফর হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিয়েভকে যে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে সেবিষয়ে আলোচনা হতে পারে বাইডেন ও জেলেনস্কির মধ্যে। কয়েকদিন আগেই কিয়েভে গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপরই ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’-এর তীব্রতা আরও শক্তিশালী করতে একশো কোটি ডলারের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যুপুরী লিবিয়া, মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০ হাজার]
তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ আবহে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে নতুন রণকৌশল নির্ধারণ করতে আলোচনা হতে পারে দুদেশের মধ্যে। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দোসর হতে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম (Kim Jong Un)। চলতি সপ্তাহে রাশিয়া সফরে গিয়ে কিম আশ্বাস দিয়েছেন, পুতিনকে যুদ্ধের ময়দানে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্য করবে পিয়ংইয়ং। এমনকী সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় হবে ‘মহান’ রাশিয়ারই, বিশ্বাস কিমের। এই প্রেক্ষাপটেই আমেরিকার আশঙ্কা অস্ত্র চুক্তি হতে চলেছে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে। যার প্রভাব পড়বে ইউক্রেন যুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে আগেই উত্তর কোরিয়াকে (North Korea) হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে হোয়াইট হাউস।
ফলে পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করতেও বৈঠক হতে পারে বাইডেন ও জেলেনস্কির মধ্যে। বলে রাখা ভালো, আমেরিকার অস্ত্রবলেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। শুরুর দিকে বিপাকে পড়লেও রণক্ষেত্রের ছবি বদলে রাশিয়াকে পালটা মার দিচ্ছে জেলেনস্কির ‘লিলিপুট’ বাহিনী। আক্রমণের ধারা আরও তীব্র করেই কয়েকদিন আগে সংঘাতের কেন্দ্র বাখমুট সংলগ্ন কয়েকটি অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনের সেনা।