শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আচমকা ‘শিয়াল’ নিয়ে সরগরম জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। শহরের থানা মোড়ের বিভিন্ন দোকান, কংগ্রেস ভবন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের দেওয়াল – সর্বত্রই তার ছবি। নিচে লেখা, ‘‘শিয়াল চিহ্নে ভোট দিন। আমরা শিয়ালের অনুগামী’’। মূলত কংগ্রেস কার্যালয়কে কেন্দ্র করে চারপাশের দেওয়ালে সাঁটা হয়েছে এই পোস্টার। আর ‘শিয়ালে’র ছবি দেওয়া পোস্টারকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ির অন্দরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
কেন কংগ্রেস (Congress) অফিসে এমন পোস্টার? এই বিতর্ক উঠতেই শুরু হয়েছে উত্তর খোঁজার পালা। কয়েকদিন ধরেই এই প্রার্থীপদ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে কংগ্রেসের অন্দরমহলে। ‘পরিযায়ী’ সুখবিলাস বর্মাকে চাই না – এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। সেই বিক্ষুব্ধরাই রাতের অন্ধকারে এ কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করা হলেও কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল এ কাজ করেছে। অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘টুকলি করছে ওরা’, বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান চুরির অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার]
রবিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেস। তাতে জলপাইগুড়ি সদর কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসাবে পুনরায় সুখবিলাস বর্মার নাম ঘোষণায় প্রকাশ্যে ক্ষোভের কথা জানান অনেকেই। অভিযোগ, ভোটের সময় শুধু দেখা যায় প্রার্থী সুখবিলাস বর্মাকে। ভোট ফুরোলেই ফের কলকাতায় পাড়ি দেন তিনি। এই নিয়ে কথা শুনতে হয় বাড়ি-বাড়ি ভোট চাইতে যাওয়া কর্মীদের। সুখবিলাসকে প্রার্থী করায় এবার তার হয়ে ভোট চাইতে যাবেন না বলে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তবে এর সঙ্গে শেয়ালের কী সম্পর্ক এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আশপাশে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কার্যালয় থাকলেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কংগ্রেস কার্যালয়ে শেয়ালের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভা ঘিরে তুমুল অশান্তি, বিজেপি প্রার্থীকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান, রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম]
ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তিতে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী সুখবিলাস বর্মা। তাঁর কথায়, “শিয়াল মানেই তো ধূর্ত। যারা এই কাজ করেছে, তারাও ধূর্ত। স্বাভাবিকভাবে তাঁরা কী বলতে চাইছে, স্পষ্ট নয়।” জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস এখন পোস্টার পার্টি। জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস অফিসে একাধিক শিয়াল রয়েছে।” এক শিয়াল আর এক শিয়ালকে আক্রমণ করে পোস্টার দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।