নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিমান-বাস-রেলের পর অদূর ভবিষ্যতে জলপথেও মিলবে বাংলাদেশ সফরের সুযোগ। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে নদীপথে যাতায়াতের ব্যবস্থার বিষয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। দুই দেশের দেশের মধ্যে নদীপথে যাতায়াত শুরু হলে কীভাবে ভিসা দেওয়া হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে এসেছে। শনিবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে সাংবাদিক বৈঠকে মোমেন নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশে (Bangladesh) ভারতের ভিসার চাহিদা তুঙ্গে। ভারতের তরফে প্রতিবছর প্রায় ১৬ লক্ষ ভিসা দেওয়ার পরেও সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না। তাই কীভাবে আরও রাস্তা খোলা যায় তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জলবন্টন থেকে শুরু করে বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিমান, বাস, রেলের পর জলপথে বাংলাদেশ সফর চালুর সম্ভাবনা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন না হলেও নদী পথে বাংলাদেশ সফরের জন্য কিভাবে ভিসা দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা বৈঠকে হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে দশ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১৩০ শতাংশ]
মোমেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে মেডিক্যাল ভিসার চাহিদা বেশি। ভারত সরকার এ বিষয়ে সংবেদনশীল। এ বিষয়ে যাতে দ্রুত কাজ হয় তার জন্য লোকও পাঠিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এ ‘কনস্যুলার ডায়ালগ’ হওয়ার কথা। সেখানেই দু দেশের মধ্যে যাতায়াতের আরও রাস্তা খোলার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে নদীপথে যাতায়াত শুরু হলে কীভাবে ভিসা দেওয়া হবে সেই বিষয়টিও আলোচনা হবে। সাংবাদিক বৈঠকটি পরিচালনা করেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ।
[আরও পড়ুন: ওড়িশা থেকে উদ্ধার বাংলার নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের দেহ, সন্তানহারা আরামবাগের পরিবার]
এছাড়াও, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ থেকে গাড়ি চালিয়ে ভারতের মালদহে পূর্বপুরুষের ভিটে পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। বিশেষ অনুমতি নিয়েই তিনি এসেছিলেন। তার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কীভাবে সাধারণ মানুষও গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারে, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই নিয়ে কোন রকম আলোচনা শুরু হয়নি।